পাটগ্রামে বিদ্যুৎ: এলে থাকে না, গেলে আসে না

অসহনীয় লোডশেডিং ও লো-ভোল্টেজের কারণে অতিষ্ট হয়ে উঠছে ভারত সীমান্ত ঘেঁষা উপজেলা পাটগ্রামের মানুষ। স্থানীয়দের অভিযোগ, মাস তিনেক থেকে তারা বিদ্যুতের এ অবস্থার কারণে চরম দুুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকার একাধিক বিদ্যুৎ গ্রাহক অভিযোগ করেন, তারা গত তিন মাস ধরে চাহিদা অনুযায়ি বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না। দিনরাত মিলে কখনো কখনো অর্ধশতবার যাওয়া আসা করে বিদ্যুৎ। এর বাইরে রয়েছে লো-ভোল্টেজের যন্ত্রনা।

নবীনগর গ্রামের বাসীন্দা জামাল মিয়া জানান, বৈদ্যুতিক পাম্প দিয়ে সেচ দিলে খরচ কম হয় এমন আশায় এ বছর ১০ বিঘা জমিতে বোরো ধান লাগিয়েছিলেন। কিন্তু লো- ভোল্টেজের কারণে সেই সেচপাম্প চলছে না। ফলে বাধ্য হয়ে দেড় মাস থেকে ডিজেল চালিত শ্যালো মেশিন দিয়ে জমিতে সেচ দিয়েছেন।

পাটগ্রাম উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্র মতে, এবার পাঁচ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

জানা গেছে, ওই আবাদি জমির প্রায় পুরোটাই বিদ্যুৎ চালিত সেচপাম্প নির্ভর। তবে লো-ভোল্টেজের কারণে জমিগুলোতে ব্যহত হচ্ছে সেচ কাজ।

ফটোকপি ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদ বলেন, ‘দিন-রাতে বিদ্যুৎ যাওয়া আসার খেলা চলে। ফলে আমরা ব্যবসা করতে পারছি না।’

আরেক ব্যবসায়ী জাকির হোসেন জুয়েল বলেন, ‘লোডশেডিংয়ের কারণে ফ্রিজের খাবার নষ্ট হচ্ছে, আইপিএসের ব্যাটারী চার্জ হচ্ছে না। আর লো-ভোল্টেজের কারণে বিদ্যুতিক যন্ত্রাংশ বিকল হচ্ছে।’

নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানী লিমিটেডের (নেসকো) পাটগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী(বিতরণ) মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান বলেন, ‘লালমনিরহাট থেকে পাটগ্রাম ৩৩ কেভি সঞ্চালন লাইনের দূরত্ব প্রায় ৯০ কিলোমিটার। এর কারণে ভোল্টেজ ড্রপ হয়। আর এই সময়টাতে লোড বেশী থাকে এ কারণে এসময় ভোল্টেজ কমে যায়। লো-ভোল্টেজের সমস্যা দূর করতে মাঝে মধ্যে লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে।’

এবি/রাতদিন