পাটগ্রাম সমবায় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, ‘প্রমাণ করুক’ বললেন তিনি

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসান রকির বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। রংধনু ভোগ্যপণ্য সমবায় সমিতি নামের একটি প্রতিষ্ঠান এই অভিযোগ উত্থাপন করে। সম্প্রতি সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক বরাবর এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

অভিযোগপত্রের অনুলিপি পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী, লালমনিরহাট-১ (হাতিবান্ধা-পাটগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, রংপুর বিভাগীয় সমবায় কার্যালয়ের যুগ্ম নিবন্ধক, লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক ও জেলা সমবায় কর্মকর্তা, পাটগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবরও পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ওই অভিযোগকারী প্রতিষ্ঠান।

লিখিত অভিযোগে দাবি করা হয়েছে, পাটগ্রামে সমবায় সমিতি নিবন্ধন করানোর জন্য জেলা সমবায় কর্মকর্তার নাম ভাঙ্গিয়ে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৩০ হাজার করে টাকা নেন হাসান রকি। রংধনু ভোগ্যপণ্য সমবায় সমিতির নিবন্ধনের সময়ও তিনি ৩০ হাজার টাকা নিয়েছেন। সমিতির নিবন্ধনের পর যতবার অডিট হয়েছে, প্রতিবার তাকে ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা দিতে হয়েছে। করোনাভাইরাসের চলমান পরিস্থিতির মধ্যে গত এপ্রিল মাসে সমিতির কমিটি নির্বাচন ও অনুমোদনের জন্য ২৫ হাজার টাকা দাবি করেন হাসান রকি।

লিখিত অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটি আরও দাবি করে- সমবায় সমিতি নিবন্ধন, অডিট, বিনিয়োগ অনুমোদন, বাৎসরিক লাইসেন্স নবায়ন, সমবায় দিবস পালন, সমবায়ী প্রতিষ্ঠানের কমিটি গঠন, কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণে ভোট গ্রহণ প্রভৃতি বিষয়ে সমবায় বিধি-বিধানের অপব্যাখা দিয়ে প্রায় প্রতিটি সমবায় প্রতিষ্ঠানের কাছে টাকা দাবি করেন এই কর্মকর্তা। উপজেলার বুড়িমারী ও বাউরা ইউনিয়নে চলমান গাভী পালন প্রকল্প এবং সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন কর্মসূচিতে নিজের পছন্দমত ব্যাক্তিকে ঋণ দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পাটগ্রাম উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসান রকি বলেন, ‘রংধনু ভোগ্যপণ্য সমবায় সমিতির কমিটির মেয়াদ নেই। ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললে তাঁরা এরকম মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছে। এখন যে অভিযোগ করেছে, সে অভিযোগ প্রমাণ করুক।’

রংপুর বিভাগীয় সমবায় কার্যালয়ের যুগ্ম নিবন্ধক মোহাম্মদ আবুল বাশার রাতদিননিউজকে বলেন, ‘ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সমবায় অধিদপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে। অধিদপ্তর থেকে বিভাগীয় কার্যালয়ে নির্দেশনা এলে সে মোতাবেক তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এআই/রাতদিন