পীরগঞ্জে ইজারার অপেক্ষায় থাকা বালু লুট বন্ধ হচ্ছে না

রংপুরের পীরগঞ্জে প্রায় চার কোটি টাকার বালু হরিলুট চলছে। উপজেলার দক্ষিণ দুর্গাপুর গ্রামে করতোয়া নদীর খননকৃত ৭০ লাখ সিএফটি বালু ইজারার মাধ্যমে বিক্রির প্রক্রিয়ায় থাকা অবস্থায় তা দিনরাত সরিয়ে নিজেরাই বিক্রি করছে একটি প্রভাবশালী মহল।

এদিকে উপজেলা প্রশাসনের অভিযানের খবর আগেই ফাঁস হওয়ায় কাউকে আইনের আওতায় আনাও সম্ভব হচ্ছে না বলে জানা গেছে।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, উপজেলার টুকুরিয়া ইউনিয়নে দক্ষিণ দুর্গাপুর ও বিছনা গ্রামে মেসার্স শেখ কন্সট্রাকশন করতোয়া নদী খনন করে প্রায় ৭০ লাখ সিএফটি বালু নদীপাড়ে স্তুপ করে রাখে। ওই বালু ইজারার জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

গত মার্চে বালু নিয়ে সেখানে একটি সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। এতে উভয়পক্ষের ৮ জন আহত হয়। গত ৮ এপ্রিল তৎকালীন ইউএনও টিএমএ মমিন বিছনা ও দক্ষিণ দুর্পাপুর গ্রামে নদীটির খননকৃত দেড় কিলোমিটার এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছিলেন।

কিন্তু এখনও সেখান থেকে বালু লুট চলছে অব্যাহতভাবে। তা বন্ধে উপজেলা প্রশাসনের অভিযানের খবর পেয়ে বালু লুটেরা যন্ত্রপাতি ও ট্রাকটরগুলো আগেই সরিয়ে রাখে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ নিলে বালুগুলো রক্ষা হতো’।

পাউবোর এক কর্মকর্তা জানান, করতোয়া নদী খননে উত্তোলিত ৭০ লাখ সিএফটি বালুর ইজারা মুল্য প্রায় চার কোটি টাকা হতে পারকো। কিন্তু সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে।

ইউএনও মেজবাউল হোসেন বলেন, ‘বালু রক্ষায় অ্যাসিল্যান্ডকে দুইবার ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার জন্য পাঠানো হয়েছিল কিন্তু কাউকে পাওয়া যায়নি। রাতে বালু নিয়ে যাওয়া হলে আমাদের কী করার আছে’।

এইচএ/রাতদিন