পীরগাছায় মুক্তিযোদ্ধা লাঞ্চিত, আ.লীগ নেতার শাস্তি দাবি

আগামী ২৬ মার্চের আগেই মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্চিতের বিচার না হলে স্বাধীনতা দিবসের সকল কর্মসূচি বর্জন করার ঘোষণা দিয়েছেন রংপুরের পীরগাছা উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা।

এই দাবিতে বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ দুপুরে পীরগাছা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ড একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। পরে  উপজেলা পরিষদের সামনে গিয়ে ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করে। মানববন্ধন শেষে পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি দেয়া হয়।

মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন পীরগাছা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ওয়াজেদ আলী সরকার, ডেপুটি কমান্ডার শাহ্‌ মোঃ আব্দুল হামিদ, মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল কুদ্দুস সরকার প্রমুখ।

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধা আনসার আলী মাস্টারকে শারিরিকভাবে লাঞ্ছিতকারীর দৃষ্টান্তমূলক বিচার না হলে ২৬ মার্চের সকল কর্মসুচি বর্জনের ঘোষণাসহ পরবর্তিতে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসুচি দেয়ার কথা জানানো হয়।

জানা গেছে, গত ১৮ মার্চ দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দিন পীরগাছা উপজেলার ৪২ নম্বর ভোট কেন্দ্র কাশিয়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেয়ার সময় মুক্তিযোদ্ধা আনসার আলী মাস্টারকে শারিরিকভাবে লাঞ্ছিত করে আওয়ামীলীগের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও পীরগাছা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ্‌ আল মাহমুদ মিলন। এতে ওই মুক্তিযোদ্ধা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।

ওই ঘটনার কিছুক্ষণ পর পাওটানাহাট কলেজ ভোটকেন্দ্রের সামন থেকে আব্দুল্লাহ্‌ আল মাহমুদ মিলনকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়। রাতে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় এবং মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় তাকে।

এইচএ/রাতদিন