গণভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, এবার পুরণো অনেকের সাথে মন্ত্রিসভায় একদল নতুন মুখ দেখা যেতে পারে। নতুন ও পুরণোদের নিয়েই মূলত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর ‘ডেল্টা প্ল্যান ২১০০’ বাস্তবায়ন শুরু করতে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের লক্ষ্যে গণভবনের প্রস্তুতি চলছে।
দৈনিকটিকে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম মঙ্গলবার, ১ জানুয়ারি বলেছেন, ‘গেজেট প্রকাশ হওয়ার পরই সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে। আর এর পরই মন্ত্রিসভা গঠন হবে’।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় নতুন এমপিদের শপথবাক্য পাঠ করানোর প্রস্তুুতি নিচ্ছে জাতীয় সংসদ সচিবালয়। জাতীয় সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী নতুন সংসদ সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন। সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠানের পর দ্রততম সময়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বঙ্গভবনে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন।
বুধবার, ২ জানুয়ারি প্রকাশিত দৈনিকটির খবরে বলা হয়েছে, বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্য থেকে বেশ কয়েকজনের নতুন মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে গত পাঁচ বছরের মূল্যায়নে যাঁদের পারফরম্যান্স খারাপ তাঁরা বাদ পড়বেন।
গণভবনসংশ্লিষ্ট সূত্র ও আওয়ামীলীগের শীর্ষ পর্যায়ের উদ্ধৃতি দিয়ে দৈনিকটি দাবি করেছে, সম্ভাব্য তারুণ্যনির্ভর মন্ত্রিসভায় এক ডজনেরও বেশি নতুন মুখ দেখা যেতে পারে।
আলোচনায় যারা : ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, কুমিল্লা-৭ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য অধ্যাপক আলী আশরাফ, দিনাজপুর-২ আসন থেকে পর পর তিনবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সিলেট-৪ আসন থেকে নির্বাচিত ইমরান আহমেদ, মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের মৃণাল কান্তি দাস, যশোর-৩ আসন থেকে পরপর দুবার নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপন, ঢাকা-১১ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ, পঞ্চগড়-২ আসনের সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম সুজন, টাঙ্গাইল-৭ আসনের সংসদ সদস্য একাব্বার হোসেন, সিমিন হোসেন রিমি ও একাদশ সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ।
এর বাইরে মহাজোটের সরকার হলে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও লালমনিরহাট-৩ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য জিএম কাদের এবং ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী-২ আসনের পরপর তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার নাম আলোচনায় রয়েছে।
তবে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী মনোনীত করার বিষয়টি পুরোপুরি প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ইচ্ছার ওপর নির্ভর করছে বলে দৈনিকটির খবরে বলা হয়েছে।
এইচএ/০২.০১.১৯