ঘুষ উন্নয়নের প্রতিবন্ধক : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশ বাহিনীকে আরো ‘জন-বান্ধব’ হিসেবে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে মামলায় পুলিশের কার্যক্রম যথাসময়ে নিষ্পত্তির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।

পুলিশ সপ্তাহ ২০১৯ উপলক্ষে মঙ্গলবার, ৫ ফেব্রুয়ারি সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সিনিয়র পুলিশ অফিসারদের সামনে ভাষণে তিনি একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি বাস্তব যে যথাসময়ে পুলিশি মামলা শেষ হয় না । যিনি এই দায়িত্ব পালন করেন এটি তার দুর্বলতা। এজন্য তদারকিতে আপনাদের বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. জাবেদ পাটোয়ারি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন এবং অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মোকলেসুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদকে বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই দুই দানবের মোকাবেলায় সরকার সক্ষমতা দেখিয়েছে। সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, `অনেকে এই আইনের সমালোচনা করছেন। বাস্তবতা হচ্ছে যে, নিরপরাধ ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে এই আইন করা হয়েছে।’

আইনটি সাইবার অপরাধের তদন্ত, মামলা দায়ের,সনাক্তকরণ ও অপরাধীদের গ্রেফতারে পুলিশকে সহায়তা করছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও মাদকের মূলোৎপাটনে পুলিশ বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, ঘুষ হচ্ছে উন্নয়নের প্রতিবন্ধক এবং মাদক একটি দেশ ও একটি জাতিকে ধ্বংস করে। মাদকের কারণে চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এমনকি সন্তানরা তাদের পিতা-মাতাকেও হত্যা করে।

শেখ হাসিনা বলেন, মেগা প্রকল্প পাহারায় বিশেষায়িত পুলিশ বাহিনীর সদস্য বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘আমরা পদ্মা সেতুর মত অনেক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। এসব প্রকল্পের নিরাপত্তায় আমাদের আরো বিশেষায়িত পুলিশ সদস্য প্রয়োজন।’

এসকে/৫.২.২০১৯