ফিরে দেখা বাবুসোনা হত্যাকান্ড

পুলিশ, আদালত এবং সংশ্লিষ্টসূত্রগুলো বলছে, আইনজীবী রথীশ চন্দ্র স্ত্রীর পরকীয়ার বলি হয়ে
মূলত প্রাণ হারান।

তার স্ত্রী স্কুলশিক্ষক স্নিগ্ধা সরকার ওরফে দীপা পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছিলেন তারই এক সহকর্মী শিক্ষকের সাথে। ওই শিক্ষকের নাম কামরুল ইসলাম।

ওই দুই শিক্ষক মিলে গত বছরের ২৯ মার্চ রাতে বাবুসোনাকে একসাথে কৌশলে ১০টি ঘুমের ওষুধ খাওয়ান। এতে ওই আইনজীবী অচেতন হয়ে পড়লে নিজের বাড়িতেই তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে দীপা ও কামরুল।

পরবর্তিতে তার মরদেহ নগরীর তাজহাট মোল্লাপাড়ায় কামরুলের ভাইয়ের নির্মানাধীন বাড়ির মেঝেতে পুঁতে রাখা হয়।

এ ঘটনার পরদিন বাবুসোনা নিখোঁজ-এমন তথ্য ছড়িয়ে পড়ে তার স্ত্রীর মাধ্যমে। ফলে রংপুরসহ দেশব্যাপি তোলপাড় শুরু হয়।

যেহেতু ওই আইনজীবী জাপানী নাগরিক হোশি কোনিও হত্যা মামলার পিপি ছিলেন তাই ওই সময়ে অনেকে ধারণা করছিলেন এ হত্যাকান্ডের সাথে জঙ্গী সম্পর্ক থাকতে পারে।

সেসময় ‘নিখোঁজ’ আইনজীবী বাবুসোনাকে উদ্ধারের দাবিতে পথে নামে বিভিন্ন সংগঠন।

তবে এ ঘটনার ছয় দিনের মাথায় গত বছরের ৩ এপ্রিল রাতে বাবুসোনার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের হেফাজতে নিয়ে যায় রংপুরের র‌্যাব-১৩।

র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে এক পযায়ে হত্যাকান্ডের সাথে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে বাবুসোনার মরদেহের অবস্থান জানান দীপা।

সেই সূত্র ধরে পরে নির্মানাধীণ ওই বাড়ির মেঝে খুঁড়ে নিহত আইনজীবী বাবুসোনার গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

একই সাথে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত অভিযোগে গ্রেফতার হন স্কুল শিক্ষক কামরুল ইসলাম। তবে কারাগারে আটক থাকা অবস্থায় মারা যায় কামরুল।

এ মামলায় স্কুলছাত্র মোল্লাপাড়া এলাকার সবুজ ও রোকনুজ্জামানকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে অবশ্য তারা দুজন ছাড়া পায়।

এইচএ/২৯.০১.১৯