ফুল তুলতে ব্যস্ত চাষি, ফুরসত নেই দোকানির

আজ বুধবার, বসন্ত উৎসব। রাত পোহালেই ভালবাসা দিবস। আর দিন কয়েক বাদে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

প্রতি বছরই দিবসগুলোতে ফুলের চাহিদা বেড়ে যায়। তাই বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই ব্যস্ত সময় পার করেন রংপুর অঞ্চলের ফুলচাষিরা। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি।

অপরদিকে মঙ্গলবার থেকেই যেন দম ফেলার সুযোগ নেই নগরীর ফুল ব্যবসায়ীদের। তারা জানিয়েছেন, আজ পহেলা ফাল্গুন ও কাল বৃহস্পতিবার ভালবাসা দিবসে বিকিকিনিতে তাদের ব্যস্ততা আরো বাড়বে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রংপুর জেলাজুড়ে ছোট-বড় মিলে শ খানেক ফুলচাষি রয়েছে। আর নগরীতে ফুলের দোকান গড়ে উঠেছে ৩০টির মতো। এসব দোকান গড়ে উঠেছে নিউ ইঞ্জিনিয়ার পাড়া ও চিড়িয়াখানা সড়কে।

ফুলচাষিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ফেব্রুয়ারি মাসের ওই তিনটি দিবসকে ঘিরে বিপুল পরিমাণ ফুলের চাহিদা তৈরি হয়। তাই তারাও বেশ আগে থেকেই পরিবারের লোকজনের পাশাপাশি শ্রমিক নিয়ে ফুল পরিচর্যায় ঝুঁকে পড়েন।

এসময়টাতে তারা মূলত গোলাপ ও গাঁদা ফুল উৎপাদনে বেশি মনযোগী হয়ে থাকেন। তবে অন্যান্য ফুলেরও চাষ করেন।

জানা যায়, পহেলা ফাল্গুন ও ভালবাসা দিবসের ঠিক কয়েকদিন আগে গোলাপ ফুঁটতে দিতে চাননা চাষিরা। এতে তারা নিজেরাই ‘বাধা’ হয়ে দাঁড়ান। অর্থাৎ দিবস দুটিতে বেশি দামে ফুল সরবরাহের জন্য এক ধরণের বিশেষ ক্যাপ ব্যবহার করেন চাষিরা।

প্রতিটি গোলাপের বাড়ন্ত কুঁড়িতে লাগানো হয় সেই ক্যাপ। যা বিশেষ কায়দায় লাগিয়ে দিলে ফুল প্রস্ফুটিত হতে পারে না। এভাবে কয়েকদিন রেখে শেষ মুর্হুতে সেগুলো খুলে বিক্রি করা হয় পাইকারি দরে।

রংপুর নগরীর একটি ফুলক্ষেত। ছবি : রাতদিন.নিউজ

নগরীর সাতমাথার গলাকাটা এলাকার ফুলচাষি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘পহেলা বসন্ত ও ভালবাসা দিবসে প্রচুর ফুলের চাহিদা। আর গোলাপের চাহিদা যেহেতু বেশি তাই গোলাপ যেন আগেই না ফোঁটে তাই ক্যাপ পড়ানো হয়।’

নগরীর নিউ ইঞ্জিনিয়ার পাড়া সড়কের ফুল ব্যবসায়ী গোলজার হোসেন বলেন, ‘ভালোবাসা দিবস ও পহেলা ফাল্গুনে ফুলের চাহিদা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। ফলে আমরা আগে থেকেই রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ফুল সংগ্রহ করি’।

তাদেরই আরেকজন ইসরাত জামান বলেন, ‘আমরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছি। মঙ্গলবার থেকেই শুরু হয়েছে পুরোদমে ফুল বিক্রি। যা চলবে বৃহস্পতিবার দিনজুড়ে’।

ইসরাতের তথ্যের মিল পাওয়া যায় রংপুর নগরীর ফুলের দোকানগুলো ঘুরে।

এমএইচ/রাতদিন