বদলে যাচ্ছে বাংলাবান্ধা

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর। প্রতিদিন অসংখ্য আমদানি-রফতানি পণ্যবাহি যানের আসা-যাওয়া। সাথে সারি সারি পাথর ভাঙার মেশিন। এসব থেকে সৃষ্ট ধুলোয় ধূসর থাকতো বন্দরটি কাকডাকা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ।

আর এই পরিবেশে ভোগান্তি নিয়েই চলাচল করতে হতো স্থানীয়সহ দেশি-বিদেশি পর্যটকদের। অন্যদিকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেই কাজ করতে হতো পাথর শ্রমিকদের।

তবে চিরচেনা সেই পরিবেশ বদলে যাচ্ছে। পর্যটকসহ সবার কথা চিন্তা করে বেশকিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বাংলাবান্ধাকে ঘিরে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্য নিয়েও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ৩১ জানুয়ারি শুভ সূচনা হয়েছে সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার।

দুপুরে বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট এলাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করা হয়। তেঁতুলিয়া উপজেলা পরিষদের আয়োজনে এই উদ্যোগ নেয় বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদ। এতে সহযোগিতা করছে `জাগ্রত তেঁতুলিয়া’ নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

স্থলবন্দর এলাকায় ঝাড় হাতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শাহীন।

ছবি : রাতদিন.নিউজ

পরে বাংলাবান্ধা বিওপি থেকে স্থলবন্দরের জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত দুই কিলোমিটার এলাকায় সড়কের উপর রাখা পাথর অপসারণ করা হয়।

এরপর ধুলোমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে পানিবাহী গাড়ির মাধ্যমে সড়ক ও আশপাশের এলাকায় পানি ছিটানো হয়। আর পাথর ভাঙা শ্রমিকদের মাঝে সহস্রাধিক মাক্স বিতরণ করা হয়।

এসময় সেখানে ছিলেন তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানিউল ফেরদৌস, তেঁতুলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি এনামুল হক, বাংলাবান্ধা ইউপি চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলন, তেঁতুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আনিসুর রহমান প্রমুখ।

উপস্থিত ছিলেন পাথর ব্যবসায়ীসহ স্থলবন্দরে কর্মরত কয়েকশ’ শ্রমিক।

আয়োজকরা জানান, স্থলবন্দর এলাকা ধুলোমুক্ত রাখতে প্রতিদিন পানিবাহী গাড়ির মাধ্যমে পানি ছিটানো হবে। সেইসাথে স্থায়ীভাবে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মাক্স ব্যবহারসহ প্রত্যেক পাথর ভাঙা মেশিনে পানি ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নির্দেশ অমান্য করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এইচএ/০১.০২.১৯