বন্যাদুর্গতদের জন্য ঢাকায় ‘কনসার্ট ফর কুড়িগ্রাম’

কুড়িগ্রামে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সহায়তার জন্য ‘কনসার্ট ফর কুড়িগ্রাম’ এর আয়োজন করেছে রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি।

আগামী ২৭ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে।

আয়োজকরা জানান, কুড়িগ্রামে এবছর শতাব্দীর সবচেয়ে বড় বন্যা হয়েছে। বন্যায় জেলার ৯ উপজেলার অধিকাংশ এলাকা পানির নিচে ডুবে গেছে। এতে, দুই লক্ষাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যায় গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে জেলাবাসী। এমন পরিস্থিতি কুড়িগ্রামের দিকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নজর ফেরাতে এ কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটির সাধারণ সম্পাদক রকিব মোহাম্মদ হাসান বলেন, ‘নানা কারণে কুড়িগ্রাম বাংলাদেশের সবচেয়ে অবহেলিত ও দারিদ্র জেলায় পরিণত হয়েছে। নদীশাসন না করায় প্রতিবছর জেলাবাসীকে ভয়াবহ বন্যা মোকাবেলা করতে হচ্ছে। আর, এবছরের বন্যা বিগত সকল বন্যার চেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গত ১৮ জুলাই ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ১৬৫ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এতে, পুরো জেলা একটি নদীতে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে গোটা জেলার উপর দিয়ে বইছে বন্যার পানি। সেখানে তেমন শুকনো জায়গা নেই। মানুষ বসে থাকার জায়গা পাচ্ছে না। কেউ মারা গেলে সেখানে দাফন করারও কোনো অবস্থা নেই। এমন পরিস্থিতিতেও সহযোগিতা বঞ্চিত রয়েছে জেলার ৯ উপজেলার দুই লক্ষাধিক পরিবার। তাই কুড়িগ্রামের দিকে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ এবং দ্রুত সরকারী ও বেসরকারী সহযোগিতা সরবরাহের জন্য এ কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে।’

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি নাহিদ হাসান নলেজ বলেন, ‘অর্থনৈতিকভাবে কুড়িগ্রাম একটি পিছিয়ে জেলা। সেখানে কর্মসংস্থানের তেমন ব্যবস্থা নেই। এছাড়া, কুড়িগ্রামের উন্নয়নে বিগত সরকারগুলোও তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এর উপর প্রতিবছরের বন্যায় জেলার মানুষজন তাদের ঘর-বাড়ি হারাচ্ছে। এবছর বন্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। কয়েকটি বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় কুড়িগ্রাম শহরসহ পুরো জেলা পানির নীচে তলিয়ে গেছে। বর্তমানে মানবেতর জীবন-যাপন করছে কুড়িগ্রামবাসী। এমন পরিস্থিতে কুড়িগ্রামের উন্নয়নে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে এ কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে।’ সূত্র : বাংলা