বাঁশের বাহারী কারুকাজে ‘ঐতিহ্য আনা’র যাত্রা শুরু, খাবারে থাকবে ঐতিহ্যের ছাপ

হারিয়ে যেতে বসা বাঁশ দিয়ে নানা ধরণের কারুকাজ আর বাহারী নকশায় তৈরি দেশীয় খাবারের প্রতিষ্ঠান ‘ঐতিহ্য আনা’ যাত্রা শুরু করলো। আদি থেকে শুরু করে বর্তমান যুগের বিভিন্ন বিষয়কে শৈল্পিকভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এর অবয়বে। আর ভোজন রসিকদের জন্য দেশীয় সব খাবারের সমারোহ ঘটিয়ে যাত্রা শুরু করলো প্রতিষ্ঠানটি।

শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের বিসিক শিল্পনগরীর সামনে গড়ে ওঠা এই রেস্তোরার উদ্বোধন করা হয়েছে।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফিতে কেটে এর উদ্বোধন করেছেন সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাসিম আহমেদ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) পরিমল কুমার সরকার ও সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মে. আবুল হাসনাত খান। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান নীলফামারী জেলা পরিষদ সদস্য মো. শামীম চৌধুরী।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা আবু জাফর মো. সায়েম, রোটারী ক্লাব অব সৈয়দপুরের চাটার্ড প্রেসিডেন্ট, চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. মো. শরীফুল আলম চৌধুরী, হাজারীহাট স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ মো. লুৎফর রহমান চৌধুরী, বিশিষ্ট শিল্পপতি মো. আমিনুল ইসলাম, খাতামধুপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. জুয়েল চৌধুরী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, মো. বুলবুল চৌধুরী, বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিক, রোটারী ক্লাবের সদস্যবৃন্দসহ অন্যান্যরা।

এর আগে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঐতিহ্য আনার সফলতা কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

ঐতিহ্য আনায় ভোজন রসিকদের জন্য থাকবে চারটি জোন। জোনগুলো হলো, শহুরে আনা, উঠান, আদি আনা ও দস্তরখানা। প্রতিটি জোনেই বাঁশ দিয়ে তৈরি গ্রাম ও শহরের ঐতিহ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। রেস্তোরায় প্রবেশ করলেই দেখা যাবে ঐতিহ্যের এসব দৃশ্য।

প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর এ এইচ এম. শামসুর রহমান জানান, দেশীয় খাবার প্রিয় ভোজন রসিকদের কথা মাথায় রেখে প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলা হয়। বাঁশের তৈরি আসবাবপত্র এবং নানা কারুকাজে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ফুটিয়ে তোলা এমন প্রতিষ্ঠান উত্তরবঙ্গে এমন প্রতিষ্ঠান দ্বিতীয়টি আর নেই বলে তিনি দাবি করেন।

এ প্রতিষ্ঠানে গ্রাম বাংলার এতিহ্যবাহী খাবারসহ দেশীয় সবধরণের খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিটি খাবারের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।

প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি চালু থাকবে বলে জানান এ এইচ এম শামসুর রহমান।