বাংলাদেশীদের ফিরিয়ে আনতে বিশেষ বিমান যাচ্ছে চীন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ভয়াবহ করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষিতে চীন থেকে ‘ফিরে আসতে ইচ্ছুক’ বাংলাদেশী নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সরকার ।

মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, একটি বিশেষ বিমান চীন থেকে বাংলাদেশী নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

রাজধানীর একটি হোটেলে কর্মশালা উদ্বোধনের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা প্রস্তুত, প্রায় ৫০০ বাংলাদেশী শিক্ষার্থী এখন ভাইরাস আক্রান্ত এলাকার কেন্দ্রস্থল উহান শহরে রয়েছেন।

আমরা তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য একটি বিমানও প্রস্তুত করে রেখেছি ।

মোমেন বলেন, চীনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস একটি ওয়েবপেজ খুলেছে, যেখানে এখন পর্যন্ত ২৪৫ জন শিক্ষার্থী দেশে ফেরার জন্য নিবন্ধন করেছেন। তিনি আরও বলেন, আমরা তাদের সাথে অব্যাহত যোগাযোগ রাখছি ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনে আটকা পড়া বাংলাদেশী যারা ফিরে আসতে ইচ্ছুক তাদের ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ নেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। তাই আমরা সব ধরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

তবে মোমেন বলেন, ‘দু’সপ্তাহের আগে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না, কারণ চীনা কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছে যে, তারা সেখানে সবাইকে আলাদা করে রেখেছে এবং কমপক্ষে ১৪ দিনের মধ্যে তাদেরকে চীন ত্যাগ করার অনুমতি দেয়া হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের কারণে বাংলাদেশ এখনও চীনে ভ্রমণের ক্ষেত্রে কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি।

বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রবাসী বাংলাদেশীদের কাছে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে কোনও জরুরি সহায়তার প্রয়োজন হলে তাদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ২৪ ঘন্টার হটলাইন খুলেছে।

চীন সরকার উহান ও অন্যান্য শহরগুলোকে সিল করে দিয়েছে। ফলে ভাইরাসটির সংক্রমন ঠেকাতে হাজার-হাজার বিদেশিসহ ৫০ মিলিয়নেরও বেশি লোক কার্যত আটকা পড়েছে।

এতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০৬ জনে এবং আক্রান্ত লোকের সংখ্যাও এখন ৪,৫০০ জনের বেশি। সুত্র: বাসস।

এসকে/রাতদিন