বাংলাদেশ জিতিয়া প্রমাণ করিল যে তাহারাই ‘ফেভারিট’

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত ছোট গল্প ‘জীবিত ও মৃত’ হয়তোবা মনে আছে। না থাকলেও ওই গল্পের কাদম্বিনীর কথা মনে আছে নিশ্চয়ই। জীবিত কাদম্বিনীকে পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে মরে প্রমান করতে হয়েছিলো সে মরে নাই। এই প্রেক্ষিতেই সৃষ্টি হয়েছিলো সেই বিখ্যাত উক্তি ‘কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল যে সে মরে নাই।’

বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচের পটভূমিও অনেকটা সেরকমই ছিলো। এই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে আসেন দলটির সিনিয়র খেলোয়াড় মোহাম্মদ নবী। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এই ম্যাচে আমরাই ফেভারিট, তবে বাংলাদেশ দলকে আমরা হাল্কা ভাবে নিচ্ছি না। নিজেদের দিনে তারা কঠিন প্রতিপক্ষকে হারাতে পারে।’ এখানে তিনটি বিষয় লক্ষ্যনীয়, এক. এ ম্যাচে আফগানরা ফেভারিট, দুই. বাংলাদেশ দল অপেক্ষাকৃত দুর্বল তিন. বাংলাদেশের জন্য আফগানরা ‘কঠিন প্রতিপক্ষ’।

বাংলাদেশ যে ফেভারিট হতে পারে এটি এখনো অনেকেই মানতে চান না। এই কথিত ‘কঠিন প্রতিপক্ষ’ আফগানিস্তানকে কে সহজে হারিয়ে ‘অপেক্ষাকৃত দূর্বল’ বাংলাদেশ প্রমান করল এ ম্যাচে তারাই ফেভারিট। যেমনটা মনে করেন বিশ্ব ক্রিকেটের রথী মহারথিরা। এদের মধ্যে অন্যতম ‘শ্রীলংকান গ্রেট’ কুমার সাঙ্গাকারা।

বাংলাদেশের সাংবাদিকরা সাঙ্গাকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি হাস্যজ্জল ভঙ্গিতে বলেন, ‘আফগানিস্তান বাংলাদেশের বিপক্ষে ফেভারিট! আমারতো মনে হয় না।’

ক্রিকেট বোদ্ধাদের ধারণা সত্যি করে বাংলাদেশ দলও দেখিয়েছে, তারাই ফেভারিট। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং তিনটি ডিপার্টমেন্টেই নিজেদেরকে আফগানদের চেয়ে সেরা প্রমান করেছে বাংলাদেশ।পুরো ম্যাচ জুড়েই ছিলো বাংলাদেশ দলের আধিপত্য। উত্তেজনা ছিলো তবে একবারের জন্যও টাইগারদের মনে পরাজয়ের ভীতি জাগাতে পারেনি আফগানরা।

প্রথমে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৬২ রান তোলে। জবাবে ৪৭ ওভারে গুটিয়ে যাওয়ার আগে ২০০ রান করতে পারে আফগানিস্তান ফলে এসেছে ৬২ রানের সহজ জয়। বাংলাদেশের সেমিতে খেলার স্বপ্ন আলোর মুখ দেখছে আরো এক চিলতে।

জেএম/রাতদিন