বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যে গতিশীলতা আনতে চ্যাংরাবান্ধায় চালু হচ্ছে ইডিআই সিস্টেম

ভারতের চ্যাংরাবান্ধা আর্ন্তজাতিক স্থলবন্দরে চালু হতে চলেছে নতুন প্রযুক্তি সম্পন্ন ইডিআই (ইলেকট্রনিক ডাটা ইন্টারচেঞ্জ) সিস্টেম। দ্রুতগতিতে আমাদানী রপ্তানী সংক্রান্ত দলিলাদী স্থানান্তরের এই সর্বাধুনিক সিস্টেম মূলত চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তে বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে চালু হতে চলেছে।

দেশটির কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য স্থলবন্দর। এই স্থলবন্দরের মাধ্যমে ভারত-বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি হয়ে থাকে ।

এই পদ্ধতিতে বাণিজ্যের পুরো প্রক্রিয়াটিই এবার অনলাইনে ইলেকট্রনিক ডাটা ইন্টারচেঞ্জ পদ্ধতিতে হতে চলেছে। এর ফলে আরও দ্রুত, সহজে ও নির্ভুলভাবে বৈদেশিক বানিজ্য সম্পাদন করা যাবে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রগুলো জানিয়েছে।

 চলতি মাসের ২৯ তারিখ থেকেই এই পদ্ধতি চালু হবার কথা রয়েছে।। এবিষয়ে কেন্দ্রীয় শুল্ক দপ্তরের নির্দেশিকা পাঠানোর পরই চ্যাংরাবান্ধা শুল্ক দপ্তর তাদের তরফেও বিষয়টি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সকলকে অবগত করা হয়েছে বলে দেশটির শুল্ক দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ সীমান্তে আগে থেকেই এই সিস্টেম চালু হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি বৈদেশিক বাণিজ্য কেন্দ্রেও এই পদ্ধতি চালু হচ্ছে। তারমধ্যে  রয়েছে চ্যাংরাবান্ধা, ফুলবাড়ি, রাধিকাপুর ভারত-বাংলাদেশ স্থলবন্দর।

যদিও বিষয়টি নিশ্চিত করতে চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তের শুল্ক কর্তারা কোনওরকম মন্তব্য করেননি। তবে সংশিষ্ট নির্দেশিকা তাঁদের হাতেও পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন চ্যাংরাবান্ধা এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিমলকুমার ঘোষ এবং চ্যাংরাবান্ধা সিএন্ডএফ এজেন্ট ওয়েলফেয়ার এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিকাশ সাহা।

জেএম/রাতদিন