বাবরি মসজিদ রায়ে কষ্ট পেয়েছেন মমতা, লিখলেন কবিতা

বাবরি মসজিদ মামলার রায়ে কষ্ট পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। মনের কষ্ট প্রকাশ করেছেন কবিতার ভাষায়। তার লেখা ‘না বলা’ কবিতায় বলেছেন তার অব্যক্ত কষ্টের কথা।

কয়েক দশকের আইনি লড়াইয়ের পর শনিবার, ৯ নভেম্বর সকালে বাবরি মসজিদ মামলার রায় দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।

এতে প্রায় পাঁচশ বছরের পুরনো মসজিদটির জমিতে মন্দির নির্মাণে তা হিন্দুদের দিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিপারপতি রঞ্জন গগৈর নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ।

মসজিদ তৈরিতে শহরের মধ্যেই পাঁচ একরের একখণ্ড জমি দিতে হবে বলে রায়ে বলা হয়েছে। এতেই কষ্ট পেয়েছেন মমতা ব্যানার্জি।

তার মতে, অনেকসময় কিছু কথা না বললেও না বলাটাও আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। কষ্ট পেলে তা গাঁথা থাকে মনের মধ্যে, যা ব্যথার উদ্রেক করে। এই যন্ত্রণা বাড়ায় মানসিক দূষণ। কথা বলতে না পারাটা খুবই যন্ত্রণার।

মমতা লিখেছেন-

না বলা

অনেক সময়

কথা না বলেও

অনেক কথা বলা হয়ে য়ায়।

কিছু বলার থেকে

না বলাটা

আরও শক্তিশালী বলা।

খিদে পেলে

খাবার না পেলে

খিদের ‘ক্ষুধা’ বোঝা যায়।

তেমনি ঘুমের সময়

ঘুম না পেলে

ঘুমের মর্ম বোঝা যায়।

দাঁত থাকতে

যেমন দাঁতের মর্ম

মর্মর গাঁথায় লেখা থাকে,

তেমনি কষ্ট পেল

‘কষ্টকর্ম’ প্রতি ছত্রে

গাঁথা থাকে।

মনের কথা

প্রকাশ না পেলে

কথা ‘ব্যথার’ উদ্রেক করে,

যা মানসিক দূষণ বাড়ায়।

বলা হয়ে গেলে খুলে যায় দ্বার-

কথা-কথায় কথা বলে।

আর না বলতে পারাটা

অতীব যন্ত্রণা।

ওটা তো হৃদয়ের শক্তিশেল-

জমা থাকে।।

এর আগে কাশ্মীরে ৫ বাঙালি শ্রমিকের মৃত্যু নিয়ে কবিতায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মমতা।

এনআরসি নিয়ে প্রকাশিত তাঁর কবিতা ‘পরিচয়’ ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।

জেএম/রাতদিন