বিচার দাবিতে গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে মরদেহ!

২২ বছর বয়সী ভাটিয়া গামার। গত বছরের ডিসেম্বরে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখা যায় গ্রামের একটি গাছে। ফলে পুলিশ আসে, হয় ময়নাতদন্ত।

ভারতের গুজরাটের সাবরকাঁথা গ্রামের ওই ঘটনায় নিহতের পরিবারের দাবি, ওই যুবক এক মেয়েকে ভালোবাসত। সেই মেয়ের পরিবারের লোকজন তাকে খুন করেছে। পুলিশ মামলা নিষ্পত্তি করে দিলেও সুবিচারের দাবিতে অনড় পরিবার। তাই ময়নাতদন্তের পর সৎকার না করে আবারো তার মরদেহ গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। আর এভাবেই কেটে গেছে প্রায় আট মাস।

সম্প্রতি ওই মরদেহের সঙ্গে বেঁধে দেয়া হয়েছে খাটিয়া। কিন্তু তার পরেও গাছ থেকে নামানো হয়নি মরদেহ। খাটিয়াসহ গাছে ঝুলছে মরদেহ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, পুলিশ আত্মহত্যার কথা বললেও নিহতের পরিবারের দাবি এটা হত্যাকাণ্ড। সে কারণে মাসের পর মাস গ্রামে প্রবেশের মুখে বড় গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে মরদেহ। এমনকি পুলিশের তদন্তের ওপর আস্থা নেই বলে মরদেহ সৎকার করতে রাজি নয় নিহতের পরিবার।

ঝুলন্ত মরদেহের নীচ দিয়েই চলছে যাতায়াত। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার কারণে দেহে পচন ধরছে। বর্ষাও চলে এসেছে। সে কারণে দেহটিকে খাটিয়ায় শুইয়ে রাখা হয়েছে, তবে সেটা গাছে ঝুলিয়েই।

নিহত গামারের এক আত্মীয় বলেন, এটা খুনের মামলা, আত্মহত্যা নয়। সে কারণে সৎকার করে দিলে তার আত্মা শান্তি পাবে না।

ডেপুটি পুলিশ সুপার ভারত বরোত বলেন, ওই যুবকের পরিবারকে আমরা জানিয়ে দিয়েছি এটা আত্মহত্যা। কারণ ময়নাতদন্ত সেটাই বলছে। ময়নাতদন্তের পর পরিবার আবারো ঝুলিয়ে দিয়েছে ওই মরদেহ।

প্রসঙ্গত, গুজরাটের আদিবাসী এলাকায়, বিশেষ করে পোশিনা, খেদরাহমা, ভাদালি ও বিজয়নগরে চাডোতারু নামে একটি প্রথা রয়েছে। এই প্রথায় অস্বাভাবিক মৃত্যু হলে অভিযুক্তকে অর্থ দিতে হয়, এর পর মৃত ব্যক্তির আত্মীয়স্বজন ও গ্রামের মাতব্বরদের মধ্যে ভাগ হয়ে যায় সেই অর্থ।

এবি/রাতদিন