আর কয়েকদিন বাদেই মাঠে গড়াচ্ছে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ। আগামী ৩০ মে কেনিংটনের ওভালে শুরু হওয়া ক্রিকেটের এই সর্ববৃহৎ এই টুর্নামেন্টে অংশ নেবে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের ১০টি শীর্ষ দেশ। উদ্বোধনী ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও স্বাগতিক ইংল্যান্ড। বাংলাদেশ বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে ২ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।
আসন্ন এই টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। অংশগ্রহণকারী দলগুলোর অধিনায়কদের নিয়ে আয়োজন করা হয় ফটো শেসনের।
অনুষ্ঠানে বিশ্বকাপ জয় নিয়ে মন্তব্য করেছেন অংশগ্রহণকারী দলের অধিনায়করা।
এ্যারন ফিঞ্চ, অস্ট্রেলিয়া :
বিগত কয়েক বছের ধরে ইংল্যান্ড দারুণ ফর্ম দেখিয়ে আসছে। সঙ্গে রয়েছে ভারত। তারাই হয়তো আসরে সেরা পারফর্মেন্স দেখাবে। সব দিক বিবেচনায় নিলে ইংল্যান্ডই শিরোপার জন্য ফেভারিট।
ইয়োইন মর্গান, ইংল্যান্ড :
কারা শিরোপা জিতবে সে বিষয়ে আমার কোন ধারণা নেই। আমি এককভাবে কোন দলকেই শিরোপা জয়ের জন্য ফেভারিট বলতে চাই না। যে কোন টুর্নামেন্টে অবশ্যই স্বাগতিক দল একটি বিষয়। মাঠে আমরা আমাদের পরিবারের বিপুল সংখ্যক সদস্যকে দেখতে পাব। সে জন্য কয়েক বছর ধরে প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছে। ক্রিকেট খেলার জন্য ইংল্যান্ড হচ্ছে অসাধারণ একটি জায়গা।
বিরাট কোহলি, ভারত :
আমরা যেখানেই খেলিনা কেন, সমর্থকদের প্রবল চাপ থাকে আমাদের উপর। তবে অ্যারনের সঙ্গে আমিও একমত। সম্ভবত ইংল্যান্ডই ফেভারিট। নিজ কন্ডিশনের কারণেও তারা টুর্নামেন্টের সবচেয়ে শক্তিশালী দল। তবে এটিও বলব যে অংশগ্রহন করতে যাওয়া ১০টি দলই ভারসাম্যপূর্ণ ও শক্তিশালী।
শরফরাজ আহমেদ, পাকিস্তান :
মর্গান ও কোহলির মত আমিও মনে করি সবগুলো দলই ভারসাম্যপূর্ণ। সবাই ভাল দল। তাই সবার জন্যই আমার শুভ কামনা। ইংল্যান্ডে পাকিস্তানের অতীত রেকর্ড খুবই ভাল। তাই আমরা বেশ আত্মবিশ্বাসী। ইনশাল্লাহ আমরা ভাল করব।
দিমুথ করুনারত্নে, শ্রীলংকা :
ইংল্যন্ডের মাটিতে আমরা খুবই ভাল ক্রিকেট খেলেছি। দলেরও ভাল অভিজ্ঞতা আছে। সুতরাং আমরা ভাল করার চেস্টা করব। আমাদের অবস্থাও ভাল এবং আশা করি নিজেদের সেরাটা দিতে পারব।
কেন উইলিয়ামসন, নিউজিল্যান্ড :
শিরোপার বিষয়ে বলতে গেলে র্যাংকিং, ফেভারিট, আন্ডারডগ সহ অনেক কিছু নিয়ে বিশ্লেষন করতে হবে। আমার মনে হয় একটি দলের ভারসাম্যের উপর নির্ভর করছে তাদের সফলতা। সেই সঙ্গে দিনটি নিজেদের হতে হবে। নিজেদের দিনে সব দলই যে কোন কিছু ঘটাতে পারে।
ফাফ ডু প্লেসিস, দক্ষিণ আফ্রিকা :
আপনি যদি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের দিকে তাকান, তাহলে দেখবেন সাম্প্রতিক সময়ে ম্যাচগুলো হয়েছে খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে। সেটি ঘরের মাঠে হোক কিংবা বাইরে। সেখানে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই স্বাগতিক দলকে আধিপত্য বিস্তার করতে দেখা যায়নি।
মাশরাফি বিন মোর্তাজা, বাংলাদেশ :
আমাদের দলটি অভিজ্ঞ ও অনভিজ্ঞদের সমন্বয়ে গড়া। সম্ভবত অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় ভাল। দলে কিছু উদীয়মান তরুণ ভাল খেলোয়াড় যুক্ত হয়েছে। তাদেরকে নিয়ে আমরা আগামীর যাত্রায় খুবই রোমাঞ্চ অনুভব করছি।
জেসন হোল্ডার, ওয়েস্ট ইন্ডিজ :
আমাদের কাছে টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী সবগুলো দলই অসাধারণ। এখানে অংশগ্রহণের জন্য কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে আমাদের লড়াই করতে হয়েছে। বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দল খেলছে এই আসরে। আমরা তাদের মোকাবেলা করতে চাই। যে দলটি শিরোপা জিতবে, অবশ্যই যোগ্য হিসেবেই জিতবে।
গুলবদ্দিন নাইব, আফগানিস্তান :
এখন আফিগানিস্তানে শান্তি ফিরে এসেছে। যে কারণে সেখানকার বিপুলসংখ্যক জনসংখ্যা ক্রিকেটে যুক্ত হয়েছে। বিপুল দর্শক উপস্থিতিতে মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে আছি আমরা। বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দল এই টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে। এখানে আফগানিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমরা গর্বিত।
জেএম/রাতদিন
উত্তরের মুখ