বুড়িমারী হত্যাকান্ড: সেই আবুলের দায় স্বীকার

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারীতে আবু ইউনুছ মো. সহিদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা ঘটনার দই মামলার এক নম্বর আসামি আবুল হোসেন ওরফে হোসেন আলী নিজের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আজ শনিবার, ১৪ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে শনিবার নতুন করে দুই মামলার এজাহার নামীয় আসামি হেলাল উদ্দিনকে(৩২) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে বুড়িমারী ইউনিয়নের উফারমারা(গুড়িয়াটারি) গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে। এ নিয়ে মোট ৩৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

অপরদিকে বুড়িমারী কেন্দ্রিয় জামে মসজিদের গ্রেপ্তারকৃত মুয়াজ্জিন আফাজ উদ্দিনের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি)। আদালত রোববার, ১৫ নভেম্বর শুনানির দিন ধার্য্য করেছেন।

ডিবির ওসি ওমর ফারুক জানান, হত্যা ও পুলিশের ওপর হামলা মামলার এক নম্বর আসামি আবুল হোসেন ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

পুলিশ জানায়, জুয়েলকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার পর দুই মামলার এক নম্বর আসামি এবং বুড়িমারীর ডেকোরেটর ব্যবসায়ী আবুল হোসেন ওরফে হোসেন আলী পালিয়ে যায়। গ্রেপ্তার এড়াতে নিজের দাড়ি কামিয়ে গোঁফ রাখে সে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গত ৭ অক্টোবর রাজধানীর কুড়িল-বিশ্বরোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। বুড়িমারী কেন্দ্রিয় জামে মসজিদের খাদেম ও বর্তমানে কারাগারে থাকা জোবেদ আলীর সাথে নিহত জুয়েলের তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে আবুল হোসেন মসজিদ থেকে মারতে মারতে প্রথমে বাইরে নিয়ে আসে জুয়েলকে। পরে মসজিদ চত্ত্বরেও তাকে স্যান্ডেল দিয়ে পেটানো হয়।

গত ২৯ অক্টোবর বুড়িমারী কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ থেকে সৃষ্ট গুজবের ঘটনার পর বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদে পিটিয়ে হত্যা করা হয় রংপুর নগরীর বাসীন্দা আবু ইউনুছ মো. সহিদুন্নবী জুয়েলকে। পরে পাটগ্রাম-বুড়িমারী মহাসড়কের বাঁশকল এলাকায় মরদেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় নিহতের চাচাত ভাই, পুলিশ ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাদি হয়ে পাটগ্রাম থানায় হত্যাসহ পৃথক তিনটি মামলা করেন।

এবি/রাতদিন