বেরোবি কর্মচারীদের কর্মবিরতি অব্যাহত

তিন দফা দাবীতে ২য় দিনের মত কর্মচারীদের কর্মবিরতি  চলছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। কর্মচারী বান্ধব পদোন্নতি/আপগ্রেডেশন নীতিমালা বাস্তবায়নসহ তিন দফা দাবীতে এই কর্মবিরতি শুরু হয় গতকাল।

সোমবার, ২৪ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে আন্দোলনের ২য় দিনে পূর্নদিবস কর্মবিরতি পালন করছে কর্মচারীরা।  এর আগে গতকাল অর্ধ দিবস কর্মবিরতি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের  সংগঠন ‘কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ’।

বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মচারী বান্ধব পদোন্নতি/আপগ্রেডেশন নীতিমালা বাস্তবায়ন,  ৪৪ মাসের বকেয়া বেতন-ভাতা প্রদান এবং ১০ম গ্রেড প্রাপ্ত ২৫ জনকে কর্মকর্তা পদমর্যদা প্রদান ও মাস্টার রোল কর্মচারীদের চাকুরী স্থায়ী করণ এই তিন দফা দাবীতে আন্দোলন শুরু করে কর্মচারীরা। 

আড়াই মাস আগে শুরু হওয়া আন্দোলনে কোন ফল না হওয়ায় গতকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করছেন কর্মচারীরা।

সরেজমিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে গিয়ে দেখা যায়, কর্মচারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থেকে রেজিস্ট্রারের রুমের সামনে সমবেত হয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দিচ্ছেন।

এছাড়া,  ‘বারবার কেন আন্দোলন’ শিরোনামে উপাচার্য বরাবর একটি খোলা চিঠি দেন কর্মচারীরা। চিঠিতে বিগত দিনে ৪৪ মাস যাবৎ বেতন-ভাতা প্রদান না করা, ২৮৮ জনকে বকেয়া পরিশোধ করলেও ৫৮ জন কর্মচারীকে ওই বকেয়া পরিশোধ না করা, বকেয়া দেয়ার ক্ষেত্রে ৫৮ জনের বিরুদ্ধে মামলার প্রশ্ন তোলা-এ বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়।

এ ব্যাপারে কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নুর আলম বলেন, ‘গতকাল আমরা অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করলেও আজ থেকে আমরা দিন ব্যাপী কর্মবিরতি ঘোষণা করেছি।  উপাচার্য মহোদয় যদি আমাদের সাথে সাক্ষাত না করেন, তাহলে আমরা কঠোর থেকে কঠোরতম আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।’

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ’র সাথে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

জেএম/রাতদিন