ভালোবাসা দুই পারে, আটকাবে কী কাটাতারে?

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর সীমান্তে দুই বাংলার মানুষের মিলন মেলা বসেছিলো। ক্ষণিকের ভালোবাসার জন্য কাঁটাতারের বেড়ার উভয় পাশে জড়ো হন হাজারো নারী-পুরুষ-শিশু। দীর্ঘদিন পর প্রিয়জনকে এক নজর দেখতে পেয়ে অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন।দুই পারে ভালোবাসা আর মধ্যে কাটাতারের বেড়া রেখে একে একে ফেরেন তারা।

শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর সকাল থেকে ভারতের নাড়গাঁও ও মাকারহাট এবং চাপাসার ও রানীশংকৈলের কোচল সীমান্তে এই মিলনমেলা বসে।

পাথরকালী পূজা উপলক্ষে আয়োজিত এই মেলায় স্বজনদের টানে হাজারো মানুষ ছুটে যান কাঁটাতারের বেড়ার কাছে। বেড়ার এপারে-ওপারে দাঁড়িয়ে স্বজনরা প্রিয়জনের সঙ্গে আলাপচারিতা ও ভাব বিনিময় করেন। এ সময় পরস্পরের মাঝে আদান-প্রদান হয় নানা রকমের খাদ্য ও উপহার সামগ্রী।

স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে আসা রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার জাহানারা বেগম জানান, তিনি এবার ছোট ভাই মজিবুর রহমানের সঙ্গে দেখা করেছেন।

২৩ বছর আগে ভারতের মাল্দা জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার আন্ধারু গ্রামে শেফালীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর এ প্রথম ভাই-ভাবির দেখা পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার জয়ীতা রাণী বলেন, ২০ বছর আগে ভারতের গোয়ালপুকুর থানার পাঁচঘরিয়া গ্রামে ছোট বোন কমলা রাণীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর তার সঙ্গে আর কথা হয়নি। আজ  দেখা পেয়ে খুবই আনন্দিত হয়েছি।

হরিপুর থানার ওসি আমিরুজ্জামান বলেন, কাঁটাতারের বেড়ার এপার-ওপারে দাঁড়িয়ে অনেকে আত্মীয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন ও খাদ্য বিনিময় করেছেন, তবে কড়া নজরদারির ব্যবস্থা ছিলো।