‘ভালো থেকো বাপ্পী’


‘বাপ্পীর এই অকাল মৃত্যু যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। শোক জানানোর ভাষাও আজ হারিয়ে ফেলেছি। …। …ভালো থেকো বাপ্পী’

ইউসুফ আলী বাপ্পী। গঙ্গাচড়া প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক এবং দৈনিক যুগান্তর ও দৈনিক প্রথম খবর পত্রিকার গঙ্গাচড়া প্রতিনিধি। চটপটে স্বভাবের এ সাংবাদিক শেষ পর্যন্ত অকালেই চলে গেলেন।

ভারতের দিল্লীতে অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার, ১২ জানুয়ারি তিনি মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৩৩ বছর।

জানা গেছে, বাপ্পী দীর্ঘদিন ধরে কিডনি সমস্যায় ভুগছিলের। তার দুটি কিডনি’ই নষ্ট হয়েছিল। তবে এর মধ্যে একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয় ভারেত। সেখানে প্রথমে মাসখানেক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে এসেছিলেন তিনি। হঠাৎ আবারও অসুস্থ হয়ে পড়লে মাস খানেক আগে পুনরায় ভারতের ওই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।

গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে বাপ্পী। ব্যাক্তিগত জীবনে তিনি অবিবাহিত ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি বাবা-মা বোন ও আত্বীয়স্বজন রেখে গেছেন।

বাপ্পীর অকাল মৃত্যুতে গঙ্গাচড়ায় প্রেসক্লাব সহ গোটা সাংবাদিক সমাজ ও বিভিন্ন মহলে শোঁকের ছাঁয়া নেমে এসেছে। বাপ্পী সাংবাদিকতার পাশাপাশি ঠিকাদারী ব্যবসা করতো। আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল বাপ্পী।

তার মৃত্যুতে গঙ্গাচড়া সাংবাদিক সমাজ ৭ দিনের শোক ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে কালো ব্যাচ ধারণ, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে সাংবাদিকরা। এছাড়া বাপ্পীর মৃত্যুতে শোক ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিগণ। বাপ্পীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে গঙ্গাচড়াসহ বিভাগীয় শহর রংপুরের সাংবাদিকদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

তাঁর মৃত্যুকে ঘিরে রংপুরের সিনিয়র সাংবাদিক স্বপন চৌধুরী তাঁর টাইম লাইনে ‘ভালো থেকে বাপ্পী’ শিরোনামে একটি স্টাট্যাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘বাপ্পীর এই অকাল মৃত্যু যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। শোক জানানোর ভাষাও আজ হারিয়ে ফেলেছি। …। …ভালো থেকো বাপ্পী’।

এসকে/১২.০১.১৯

মতামত দিন