ভোলাহাটের ‘চিত্র পাল্টে দেয়া’ ইউএনও মশিউর রহমান সিরাজগঞ্জের এডিসি হলেন

প্রায় সাত মাস আগে গত ১৭ আগস্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলায় লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলা থেকে নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) হিসেবে যোগদান করেন মো. মশিউর রহমান। যোগদানের পরেই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা সহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশানুযায়ী উন্নয়নের কাজে কর্মকান্ড শুরু করেন তিনি।

উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। উপজেলার সব সড়কের পাশে সরকারি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, পরিচ্ছন্ন, দরিদ্র ভূমিহীন গৃহহারা মানুষের প্রধানমন্ত্রীর উপহার গৃহ প্রদান এবং দেশের ২য় বৃহত্তম বিল বিলভাতিয়াকে কৃষি ইপিজেড করে প্রায় অর্ধ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার লক্ষ্যে প্রক্রিয়া শুরু করেন।

এ ছাড়া ভোলাহাট উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাস ও সীমানা প্রাচীর রং ও মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক প্রতিকৃতি অঙ্কনসহ গ্রাম-গঞ্জের দোকান-পাটে ফুলের গাছ দিয়ে দৃষ্টি নন্দন করে  প্রায় ৭ মাসে ব্যাপক পরিবর্তন  এনেছেন তিনি ।

মাদক, বাল্যবিয়ে, সন্ত্রাস-নাশকতা দমনে পিছিয়ে ছিলেন না মোঃ মশিউর রহমান। ঘুষ-দূর্নীতিকে ছাড় দেননি তিনি। বেতনের অর্থ দিয়েই খুশী থাকা এই কর্মকর্তার কর্মে, দক্ষতায়, ভালোবাসায় অল্পদিনে উপজেলায় তিনি হয়ে উঠেন উন্নয়নের রূপকার ও মধ্যমনি।

এ বিষয়ে মশিউর রহমান বলেন, সরকার কাজ করার জন্য নিয়োগ দিয়েছেন। ফলে কাজ না করলে দেশের সাথে জাতির সাথে প্রতারণা করা হবে। তাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে সব সময় বিলেয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

এরই মধ্যে উন্নয়ন ও পরিবর্তনের কাজে ছুটে বেড়ানো ভোলাহাটের নির্বাহী অফিসার মো. মশিউর রহমান সিরাজগঞ্জ জেলায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে পদায়নের খবর আসে। ২৮ মার্চ রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় এর মাঠ প্রশাসন-২ শাখার প্রজ্ঞাপনে এই পদায়ন করা হয়।

তার এই পদায়নের খবর মুহূর্তে উপজেলায় ছড়িয়ে পড়লে উপজেলাবাসি আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেন। তবে উপজেলাবাসি তার ভালোবাসা ও উন্নয়নে মুগ্ধ হলেও তার বদলীর আদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আবেগ প্রকাশ করেন।

ভোলাহাটের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার তার কাজ তাকে স্মরণ করে রাখবেন বলে জানান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

৭৩ দিনেই পাল্টে যায় ভোলাহাটের চিত্র  

আমার গ্রাম আমার শহর ,প্রধানমন্ত্রীর এ শ্লোগানকে সামনে রেখে ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সড়কের পাশে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করায় পাল্টে যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার চিত্র। ঘিঞ্জী ও সড়কে চলাচলে স্থানীয়দের দখল করা সড়কের বাকী অংশ উদ্ধার ও পরিছন্ন করতে যোগদানের পর থেকেই সার্বক্ষনিক কাজ করে যান তিনি।

গোহালবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান ও ভোলাহাট ইউপি চেয়ারম্যান যথাক্রমে আব্দুল কাদের ও আলহাজ ইয়াজদানী জর্জ বলেন, ভোলাহাট উপজেলা একটি মডেল উপজেলায় পরিণত হয়েছে। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গরিবুল্লাহ দবির জানান, বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাস্তার পাশে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ভোলাহাট ৫০ বছর এগিয়ে গেছে।

স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন। ফলে নিজ উপজেলাকে সুন্দর সাজানো গোছানো রাখতে ভোলাহাটবাসীকে অনুরোধ জানান বিদায়ী ইউএনও মশিউর রহমান।

মতামত দিন