ভ্যান ছিনিয়ে নিতেই হত্যা করা হয় হামিদুলকে

মাত্র ১৬ হাজার টাকার ব্যাটারিচালিত অটোভ্যান ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের ভ্যানচালক হামিদুল ইসলামকে (৩৬) বিস্কুটে চেতনানাশক খাইয়ে হত্যা করা হয়। পরে তার মরদেহ বস্তায় ভরে লুকিয়ে রাখা হয় কচুরিপানার নিচে।

বুধবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১৩) রংপুর ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক আবদুল্লাহ আল মামুনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার (২৪ জানুয়ারি) গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে হামিদুল ইসলাম ব্যাটারিচালিত অটোভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর তিনি আর বাড়িতে ফেরেননি। সোমবার বিকেলে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাখাল বুরুজ ইউনিয়নের মিয়াপাড়া এলাকার ডোবার কচুরিপানার নিচ থেকে তার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ পুলিশ। এ ঘটনায় গোবিন্দগঞ্জ থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তথ্য উদঘাটনে নেমে র‌্যাব জানতে পারে নিহত হামিদুলের অটোভ্যানটি ১৬ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে সুন্দরগঞ্জে। এরপর অটোভ্যান ও ছিনতাই হওয়া মুঠোফোনের সূত্র ধরে হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি সাইদুর রহমানকে বুধবার ভোরে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে জড়িত আরও দুইজনকে আটক করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ২৪ জানুয়ারি হামিদুলের ভ্যানে মহিমাগঞ্জ থেকে সাইদুর রহমান ও মো. হাসিফুল রাখাল বুরুজ এলাকায় যায়। পরে রাত ৯টার দিকে চালক হামিদুল ইসলামকে বিস্কুটের মধ্যে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে অজ্ঞান করে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে মরদেহ বস্তাবন্দি করে পাশের ডোবায় থাকা কচুড়িপানার নিচে রেখে ভ্যান ও মুঠোফোন নিয়ে যায় তারা। ওই রাতেই ছিনতাই করা অটোভ্যানটি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা এলাকার সাইফুল ইসলামের কাছে ১৬ হাজার টাকায় বিক্রি করে সাইদুর ও হাসিফুল।

আটকরা হলেন- গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মাদারদহ গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে সাইদুর রহমান (৩৬), সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পূর্ব চন্ডিপুর গ্রামের মৃত গোলে হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩২) ও একই গ্রামের মৃত আশরাফ বেপারীর ছেলে মো. হাসিফুল (২৭)।

গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মেহেদী হাসান জানান, র‌্যাব আটক তিন আসামিকে থানায় হস্তান্তর করেছে। সন্ধ্যায় তাদের গোবিন্দগঞ্জ আমলি আদালতে তোলা হলে বিচারক পার্থ ভদ্র তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এনএ/রাতদিন

মতামত দিন