মানহীন মোবাইল নেটওয়ার্ক, পদক্ষেপ জানাতে হাইকোর্টের নির্দেশ

নেটওয়ার্কসহ মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করতে মোবাইল কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট বিভাগ।

আজ সোমবার, ২২ নভেম্বর বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

রিট আবেদনকারী সাংবাদিকদের একজন মেহেদী হাসান ডালিম আদালতের আদেশের বিষয়টি জানান।

তিনি জানান, ৬০ দিনের মধ্যে বিটিআরসিকে এফিডেভিট আকারে এ বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। মোবাইল নেটওয়ার্কসহ মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করতে মোবাইল কোম্পানিগুলোকে বাধ্য করতে বিটিআরসির নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না; তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছে হাইকোর্ট বিভাগ। মোবাইল কোম্পানিগুলোর দুর্বল নেটওয়ার্কের মান উন্নয়নের জন্য বিটিআরসি রেগুলেশন আইনের ৩ ও ৯ ধারার অধীনে ক্ষমতা থাকা স্বত্বেও কোনো প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ না করা জনসাধারণের সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থী হবে না; রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী ও সহকারী এটর্নি জেনারেল এমএমজি সারোয়ার পায়েল।

মোবাইলের দুর্বল নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেটের ধীর গতি সমস্যার সমাধান করে গুণগতমান সম্মত নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে ১২ জুন হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

ল’ রিপোর্টস ফোরামের সদস্য সাংবাদিক মেহেদী হাসান ডালিম, মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ এবং সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. রাশিদুল হাসান আবেদনকারী হয়ে রিটটি দায়ের করেন।

তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান গ্রামীণফোনসহ মোবাইল কোম্পানিগুলোর প্রধান নির্বাহীকে রিটে বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়।

রিট পিটিশনার ডালিম জানান, রিট আবেদনে বলা হয়েছে- দুর্বল নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেটের ধীর গতির কারণে মোবাইলফোন গ্রাহকরা মারাত্মক ভোগান্তিতে আছেন। গ্রাহকের কাছ থেকে যে পরিমাণ খরচ নেয়া হয় সে তুলনায় সেবার মান হতাশাজনক। মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেলেও মোবাইল কোম্পানিগুলো সে অনুযায়ী সেবা প্রদান করেনি, যার ফলে গ্রাহকদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। ২০২০ সালের এক জরিপে দেখা গেছে, ডিজিটাল সেবার মান নিশ্চিত করেছে এমন দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তালিকায় শেষের দিকে।

রিটের পক্ষে অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান বলেন, দেশের ইন্টারনেট গতি এতটাই দুর্বল যে, দেশের অনেক জায়গায় মানুষ ইন্টারনেটের সেবা হতে বঞ্চিত হচ্ছে। আমাদের যে টাকা দিয়ে নেট কেনা হয় তার মেয়াদ শেষ হলে ব্যবহার করা যায় না। অথচ নির্দিষ্ট সময়ে ব্যবহার করতে না পারার অন্যতম কারণ হলো ধীরগতি।