মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুর ফেস্টুন ছিঁড়লো রাজাকারপুত্র

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে মুজিববর্ষের প্রাক্কালে বঙ্গবন্ধুর ফেস্টুন ছেঁড়ার অভিযোগ উঠেছে এক রাজাকারপুত্রের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম মেছের আলী।

১৬ মার্চ, সোমবার রাত সাড়ে ১১ টায় রমনা রেলস্টেশন সংলগ্ন প্রতিবন্ধী স্কুলে এমন ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার বিচারের দাবিতে স্থানীয়রা বিক্ষোভ মিছিল করে।

এদিন প্রতিবন্ধী স্কুলে যখন মুজিববর্ষ পালনের প্রস্তুতি চলছিল, তখন মেছের আলি ও তার জ্ঞাতিরা লাঠি-সোটা নিয়ে মারতে আসে এবং গালিগালাজ করে। এর এক পর্যায়ে বাঁশের খুঁটিতে টাঙানো ক্ষণগননার ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে মেছের আলী ও তার দল।

এ বিষয়ে স্কুলের দাতা সদস্য আলম সরকার বলেন, ‘রাজাকার মৃত দফেন চৌকিদার মুক্তিযুদ্ধের সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. মান্নান সরকারের বাবা দবির কন্ট্রাক্টরকে ঘরে বন্দী করে আগুন লাগিয়ে দেয়। এবার তার ছেলেরা মেছের আলীর নেতৃত্বে গত সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় প্রতিবন্ধী স্কুল কর্তৃক স্থাপিত ক্ষণগণনার ফেস্টুনের সামনে এসে চিল্লাচিল্লি করে। এক পর্যায়ে মেছের আলীর ছেলে ও ভাতিজারা রিকতা আক্তার বানুর ছেলে রিফাতকে গলা ধাক্কা দেয়। অন্যদিকে মেছের আলী ও অন্যরা ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে।’ এ সময় স্থানীয় জনতা ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়।

এছাড়াও বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. মান্নান সরকারের জমি রাজাকারপুত্র মেছের আলীরা দখল করেছে। সেই মুক্তিযোদ্ধার জমিতে তারা বাড়ি ও দোকান ঘর তুলেছে। কোর্ট থেকে রায় পেলেও বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. মান্নান সরকার তার জমির দখল পাননি বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় বিচারের দাবিতে স্থানীয়রা বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে। এরপর চিলমারী থানার ওসির নেতৃত্বে একদল পুলিশ এসে গ্রেপ্তারের প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ উঠিয়ে নেয়া হয়। এখন পর্যন্ত মামলা হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চিলমারী মডেল থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এই বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি, ঘটনার সত্যতা পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ সুত্রঃ বাংলা রিপোর্ট।