মুশফিক-সাকিবের ব্যাটে বাংলাদেশের নতুন ইতিহাস

বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩৩০ রানের পাহাড় গড়েছে টাইগাররা। এটি ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের সর্বোচ্চ রান।

৩৩১ রানের টার্গেটে তাড়া করতে নেমে দলীয় ৪৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ভুল বোঝাবুঝির কারণে রান আউট হয়ে ফেরেন আফ্রিকান ওপেনার। তার আগে ৩২ বলে ২৩ রান করেন ডি কক।

এর আগে ২০১৫ সালের এপ্রিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ৬ উইকেটে ৩২৯ রান করেছিল টাইগাররা।

রোববার, ২ জুন ইংল্যান্ডের কেনিংটন ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৩০ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।

অনবদ্য ব্যাটিংয়ের পর ফিল্ডিংয়েও এক দুর্দান্ত উইকেট  নিয়েছে টাইগার দলের মুশফিকুর রহিম। তারে থ্রোতে আউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকান ওপেনার কুইন্টন ডি কক।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন মুশফিকুর রহিম। তার ৭৮ রানের ইনিংসটি ৮টি চারে সাজানো। সাকিব করেন ৭৫ রান করেন। তার ইনিংসটি ছিল ৮টি চার ও একটি ছক্কায় সাজানো। এছাড়া মাহমুদউল্লাহ ৪৬ ও সৌম্য সরকারের ৪২ রান টাইগারদের বিশাল সংগ্রহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

দলীয় ৭৫ রানে দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফেরার পর টাইগার শিবিরে যে শংকা তৈরি হয়েছিল তা ভুল প্রমাণিত করেন সাকিব-মুশফিক। তৃতীয় উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের ওপর এক প্রকার তাণ্ডব চালান। তাদের অনবদ্য ১৪২ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।

এদিকে আন্দিলে ফিলোকাওয়েকে বাউন্ডারি হাঁকানোর মধ্য দিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৩৪তম ফিফটি গড়েন মুশফিক। ফিফটির পর তিনিও সেঞ্চুরির পথে ছিলেন। দলীয় ২৫০ রানে আউট হন মুশফিক। তার আগে ৮০ বলে ৮টি চারের সাহায্যে ৭৮ রান করেন এ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।

ইনিংসের শেষ দিকে রীতিমতো তাণ্ডব চালান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ৪৩ বলে ৬৬ রানের জুটি গড়েন তারা। ২০ বলে ২৬ রান করে ফেরেন সৈকত। মাত্র ৩৩ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় অপরাজিত ৪৬ রান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩৩০/৬ (মুশফিক ৭৮, সাকিব ৭৫, মাহমুদউল্লাহ ৪৬* সৌম্য ৪২, মোসাদ্দেক ২৬, মিঠুন ২১, তামিম ১৬, মিরাজ ৫*)।

এনএইচ/রাতদিন