‘মৃত’ ফজিলাতুনকে ঢাকায় গিয়ে ‘জীবিত’ হতে হবে!

ফজিলাতুন নেসা (৮০) দীর্ঘদিন ধরে শয্যাসায়ী। অথচ জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটার তালিকায় তাকে ২০১১ সালের ২০ জুলাই মৃত হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

ছেলে সন্তান না থাকায় তিনি তার মেয়ে হাসিনা খানমের পরিবারের সঙ্গে থাকেন। ভাতাভোগী হলেও বর্তমানে তিনি মৃত হিসাবে তালিকাভূক্ত হওয়ায় বয়স্ক ভাতা তুলতে না পারছেন না। একই কারণে স্বামী ও বাবার কাছ থেকে প্রাপ্ত সামান্য জমিও হস্তান্তর করতে পারছেন না।

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের আনারপুরা গ্রামের প্রয়াত জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী হাসিনা খানম।

জানা গেছে, ফজিলাতুন নেসার জাতীয় পরিচয় নম্বর ১৪৭৯৮৫৪২৬৫ ও ভোটার তালিকা নম্বর ৫৯১২৪৩৩১১২৯৫০২। জন্ম তারিখ ৫ জুলাই ১৯৪০। কয়েক বছর যাবত বয়স্ক ভাতাভোগী ছিলেন তিনি। সম্প্রতি বয়স্কভাতা কার্যক্রম অনলাইনে করতে গিয়ে দেখা যায় তিনি সরকারি নথিতে মৃত্যুবরণ করেছেন। এ কারণে আটকে যায় তার বয়স্কভাতা।

ফজিলাতুন নেসা জানান, কোন ছেলে সন্তান না থাকায় তিনি তার মেয়ে হাসিনা খানমের পরিবারের সঙ্গে থাকেন। বয়স্ক ভাতা বন্ধের কারণে তিনি আর্থিক সঙ্কটে রয়েছেন। সরকারি নথিতে তিনি মৃত হওয়ায় স্বামী ও বাবার কাছ থেকে প্রাপ্ত সামান্য জমিও হস্তান্তর করতে পারছেন না।

ভবেরচর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোকারম হোসেন জানান, কীভাবে তিনি ভোটার তালিকা নম্বর ও জাতীয় পরিচয়পত্রে মৃত উপস্থাপিত হলেন তা বুঝতে পারছি না।

গজারিয়া উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, ঢাকায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে তাকে সংশ্লিষ্ট বিভাগে আবেদন করে ‘জীবিত’ হতে হবে।

এইচএ/রাতদিন