মোনাজাত উদ্দিনকে অনুসরণ করতে হবে: রংপুরে সাংবাদিক নেতারা

‘সত্য ও সুন্দর প্রতিষ্ঠার জন্য সমাজে এখন নিষ্ঠাবান সাংবাদিকদের বেশি প্রয়োজন। নিষ্ঠার সাথে সাংবাদিকতা করতে না পারলে সমাজ, দেশ ও জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এজন্য শেখ কল্লোল আহমেদসহ মোনাজাত উদ্দিনের মতো সাংবাদিকদের অনুসরণ করতে হবে। তবেই অকালে ঝড়ে যাওয়া সাংবাদিকদের আত্মা প্রশান্তি পাবে।

বুধবার, ১১ ডিসেম্বর রাত আটটায় রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাব কার্যালয়ে সাংবাদিক শেখ কল্লোল আহমেদের পঞ্চম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন রংপুরের সাংবাদিক নেতারা।

রিপোর্টার্স ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরহাদুজ্জামান ফারুকের সঞ্চালনায় স্মরনসভায় সাংবাদিক শেখ কল্লোল আহমেদের সাংবাদিকতা জীবন নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহ্‌ বায়েজীদ আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ শরীফুজ্জামান মোঃ ইকবাল, প্রচার সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ, সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সম্পাদক আফরোজা বেগম, সাধারণ সদস্য তৌহিদুল ইসলাম বাবলা, জুবায়ের পান্না প্রমুখ।

সভাপতি হালিম আনছারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণসভার শেষে শেখ কল্লোল আহমেদের রুহের মাগফেরাত ও তাঁর পরিবারের কল্যাণ-সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয়।

এসময় স্মরনসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের আজীবন সদস্য তানবীর হোসেন আশরাফী, বাংলার চোখ এর সদস্য দুলাল মিয়া প্রমুখ। এরআগে আসরের নামাজের পর ক্লাব সংলগ্ন নূর-ই-মদিনা মসজিদে শেখ কল্লোল আহমেদ এর রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, শেখ কল্লোল আহমেদ দীর্ঘ চল্লিশ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশায় জড়িয়ে ছিলেন। যার শুরু হয়েছিল ছোটবেলার কবিতা-গল্প লেখনীর হাতে খড়ি থেকে। দীর্ঘ এই পথচলায় শেখ কলে­াল আহমেদ ঢাকায় সাপ্তাহিক জনকণ্ঠ (বর্তমান দৈনিক জনকণ্ঠ) পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও ঢাকায় থাকাকালীন সময়ে দৈনিক বাংলা, দৈনিক লাল সবুজ, দৈনিক ঢাকা রিপোর্ট, দৈনিক একতা, দৈনিক জনতা ও দৈনিক সংবাদে সময় কেটেছে তার। এর আগে তিনি রংপুরে সাপ্তাহিক মহাকালে (বর্তমানের দৈনিক দাবানল) কাজ করেন।

ঢাকা থেকে রংপুরে ফিরে এসে স্থানীয় দৈনিক বিজলী ও দৈনিক দাবানলে দায়িত্ব পালন করেন শেখ কল্লোল আহমেদ। এ সময় তিনি রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। এবং পরবর্তীতে পরপর তিনবার ক্লাবের সভাপতি নির্বাচন হন। ২০১১ সালের শেষের দিকে প্রবীণ এই সাংবাদিকের দুটো  কিডনি অকেজো হয়ে যায়।

দীর্ঘ ৩ বছর অসুস্থ থেকে ২০১৪ সালের ১১ ডিসেম্বর চিরনিদ্রায় শায়িত হন শেখ কল্লোল আহমেদ। তিনি ১৯৬০ সালের ২৮ জুলাই রংপুর শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা প্রয়াত কবি শেখ আমানত আলী ও মা সুসমা আমানত ফাহমিদা। তিনি শেখ তমাল আহমেদ নামে একমাত্র ছেলে সন্তান ও স্ত্রী তাহমিনা আহমেদকে রেখে যান।

এনএ/রাতদিন