যুক্তরাষ্ট্র-ইরান যুদ্ধাবস্থা, উত্তেজনা বাড়ালো ট্রাম্পের ট্যুইট

যুক্তরাষ্ট্র ইরান দুই দেশই মুখে মুখে যুদ্ধে না জড়ানোর কথা বললেও চাপে রাখার কৌশলের কারনে উপসাগরীয় এলাকার উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক একটি ট্যুইট সেই উত্তেজনা আরও  কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। ট্রাম্প ওই ট্যুইট বার্তায় ইরানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে লিখেছেন, ‘ইরান যদি যুদ্ধ চায়, তা হলে সেটাই হবে ওদের শেষ দিন।’

বিষয়টি নিয়ে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইরান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জ়ারিফ সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘অর্থনৈতিক সন্ত্রাসবাদ আর গণহত্যার হুমকি দিয়ে ইরানকে টলানো যাবে না’, তিনি আরও বলেন, ‘কোনও ইরানিকে কখনও ভয় দেখাবেন না। বরং সম্মান করুন, সেটাই কাজে দেবে।’

বিগত এক বছরে আমেরিকার সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক তলানিতে নেমেছে। ট্রাম্প একা ইরান চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার পরে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা চাপান ইরানের উপরে। ইরানের ‘রেভোলিউশনারি গার্ডস’ বাহিনীকে গত মার্চ মাসে ‘সন্ত্রাসবাদী সংগঠন’ বলে ঘোষণা করেন ট্রাম্প।

 এর পাল্টা হিসেবে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি জানিয়ে দেন, আগামী ৭ জুলাইয়ের পরে দেশের উদ্বৃত্ত ইউরেনিয়াম বিদেশে রফতানি বন্ধ করে দেবেন তাঁরা। তিনি ইঙ্গিত দেন, ফের পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচির রাস্তায় হাঁটতে চলেছে তেহরান।

রুহানির এই ঘোষণার পরেই উপসাগরীয় এলাকায় যুদ্ধের যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু করে দেয় আমেরিকা। বোমারু বিমান, নৌবহর মোতায়েন শুরু হতে থাকে গোটা উপসাগরীয় এলাকা জুড়ে। ওয়াশিংটন বারবারই বলতে থাকে, ইরান হামলা করলে তার যোগ্য জবাব দেবে তারা।

যদিও এ পর্যন্ত ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছেন আমেরিকার সঙ্গে কোনও যুদ্ধ তাঁরা চান না। ট্রাম্প নিজেও একাধিক বার সে কথা জানিয়েছিলেন। তিনি বিশ্বাস করেন খুব শীঘ্রই আলোচনার টেবিলে বসতে চাইবে তেহরান। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের গত কালের টুইটটি ঘিরে গোটা উপসাগরীয় এলাকার স্থিতিশীলতা নিয়ে নতুন করে সংশয় তৈরি হয়েছে।

এদিকে উপসাগরীয় এলাকার বর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সৌদি রাজা মোহাম্মদ বিন সালমান ৩০ মে একটি বৈঠক ডেকেছেন। উপসরাগরীয় দেশগুলির নেতা এবং আরব লিগভুক্ত দেশগুলির প্রধানদের হাজির থাকার কথা সেখানে।

আরআই/রাতিদন