রংপুরের দুই ইউনিয়নে নৌকা ১৯ এ ৮, লাঙল ৩

চতুর্থ ধাপে রংপুরের দুই উপজেলার ১৯টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৮টিতে জয় লাভ করেছে আওয়ামী লীগ। আর ৩টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী, ৪টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী, ৩টিতে জাতীয় পার্টি ও একটিতে বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করেছে।

সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর উপজেলা দুটির নির্বাচন অফিস ও আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয় সূত্রে বেসরকারি ফলাফলে এসব তথ্য জানা গেছে। নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানগন এদিন শপথ গ্রহন করেন।

এর মধ্যে বদরগঞ্জ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ৪টি, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ২টিতে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ৪টিতে নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাচিতরা হলেন, গোপিনাথপুরে ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাহমুদুল হাসান (আনারস), রাধানগর ইউনিয়নে আবু বক্কর সিদ্দিক (চশমা), রামনাথপুরে শওকত আলী (মোটরসাইকেল), কালুপাড়ায় শহিদুল ইসলাম মানিক (আনারস), গোপালপুরে শামছুল হক (ঘোড়া), কুতুবপুর ইউনিয়নে মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী (ঘোড়া), বিষ্ণুপুরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফিন্দিউল হাসান চৌধুরী (নৌকা), মধুপুরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুর আলম (নৌকা), দামোদরপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজিজুল ইসলাম সরকার (নৌকা), লোহানীপাড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডলু শাহ (নৌকা)।

অপরদিকে, গঙ্গাচড়া উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টিতে আওয়ামী লীগ, ৩টিতে জাতীয় পার্টি ও একটিতে বিএনপি এবং একটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জয় লাভ করেছে।

নির্বাচিতরা হলেন, গঙ্গাচড়া উপজেলার বেতগাড়ি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাইমিন ইসলাম মারুফ (নৌকা), বড়বিল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শহীদ চৌধুরী (নৌকা), গঙ্গাচড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম লেবু (নৌকা), গজঘন্টা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী লিয়াকত আলী (নৌকা), মর্ণেয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জিল্লুর রহমান (মোটরসাইকেল), লহ্মীটারী ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির আব্দুল্লাহ্ আল হাদী (লাঙ্গল), নোহালী ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আশরাফ আলী (লাঙ্গল), কোলকোন্দ ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুর রউফ (লাঙ্গল) এবং আলমবিদিতর ইউনিয়নের বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী মোকাররম হোসেন সুজন (চশমা)।

প্রসংগত, রংপুরের বদরগঞ্জ ও গঙ্গাচড়া উপজেলার ১৯টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১০১ জন প্রার্থী অংশ নেন। এ ছাড়া সাধারণ সদস্য (পুরুষ) পদে ৭০৩ এবং সংরক্ষিত সদস্য (মহিলা) পদে ২৬৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করেন।

জেএম/রাতদিন