রংপুরে আইনজীবী শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ জামায়াতের ৬ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

রংপুর নগরীর নীলকন্ঠ এলাকার একটি ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে আইনজীবী, কলেজ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানা পুলিশ। এসময় সেখান থেকে জিহাদী বই, ব্যানার-ফেস্টুন ও চাঁদা আদায়ের রশিদ বই জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা সেখানে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছে পুলিশ। রোববার, ৭ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন রংপুর কোতয়ালী থানা জামায়াতের সাবেক আমির ও রংপুর মহানগর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট কাওছার আলী। তার বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা রয়েছে। মুঈদ ছাত্রাবাসের মালিক ও জামায়াতকর্মী সোহেল রানা লিমন, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া গ্রামের তাজুল হকের ছেলে শিবিরকর্মী মেজবাহুল হক, রংপুরের গঙ্গাচড়ার বড়বিল নামাপাড়া এলাকার ইদ্রিস আলীর ছেলে ও রংপুর সরকারি কলেজের ইংরাজি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র শিবিরকর্মী ইয়াহিয়া মাহমুদ, ওই কলেজের রসায়ন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ও কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর ভাঙ্গামোড় এলাকার সেকেন্দার আলীর ছেলে তাজুল ইসলাম এবং রংপুর নগরীর নিউ সেনপাড়ার বাসিন্দা ও দিনাজপুরের খানসামা ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক জামাতকর্মী একেএম মাহামুদুর রহমান।

রোববার রাত ১১টার দিকে মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ আবদুল আলীম মাহমুদ।

তিনি জানান, নীলকন্ঠ এলাকার মুঈদ ছাত্রাবাসে রংপুরসহ বিভিন্ন জেলা হতে আসা জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীগণ গোপনে বৈঠক করার প্রস্তুতি নেয়ার সময় গোপন পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।  জিজ্ঞাসাবাদে তারা নাশকতামূলক কর্মকান্ডের পরিকল্পণার কথা স্বীকার করে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরপিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর দপ্তর ও প্রশাসন) মো. মহিদুল ইসলাম, উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার শামীমা পারভীন, সহকারী পুলিশ কমিশনার (ডিবি) আলতাফ হোসেন, সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোতয়ালী জোন) মো. জমির উদ্দিন ও কোতয়ালী থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মো. রেজাউল ইসলাম প্রমুখ।

এইচএ/রাতদিন