রংপুরে আদিবাসীদের জমি অবৈধ দখলমুক্ত করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

রংপুর নগরীর সাতমাথা রেলগেট সংলগ্ন সাঁওতাল পল্লীর জমি অবৈধ দখলমুক্ত করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন সাঁওতাল পল্লীর বাসিন্দা আদিবাসীরা। বুধবার, ২০ নভেম্বর বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নগরীর প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল শেষে কাচারীবাজার চত্বরে এসে সমাবেশ করেন।

সাঁওতাল পল্লীর বাসিন্দা আদিবাসী নেতা স্বপন রায়ের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রাজনীতিক ও শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের আহবায়ক পলাশ কান্তি নাগ, সাঁওতাল পল্লীর বাসিন্দা জ্ঞানরাম রায়, স্বপন, জ্যোতিশ, পূর্ণিমা, শ্যামল, সাংবাদিক সাইফুল্ল্যা খাঁন।

বক্তারা বলেন, রংপুর নগরের সাতমাথা রেলগেট সংলগ্ন সরকারী ৪৪ শতক খাসজমি জেলা প্রশাসকের নিকট লীজ গ্রহণ করে স্বাধীনতা পরবর্তী সময় হতে সাঁওতাল আদিবাসীরা বসবাস করে আসছে। সাঁওতাল আদিবাসীদের লীজকৃত সম্পত্তি হতে ১৩ শতক জমি জেলা প্রশাসনকে মিথ্যা ও ভুল তথ্য দিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী ভূমিদস্যু আবুল কালাম মিয়া এবং তার দুই পুত্র মাসুম ও সোহাগের নামে লীজ গ্রহণ করে। কিন্তু ভুমিদস্যু আবুল কালাম মিয়া তার লীজকৃত জমির চাইতেও অনেকবেশী পরিমাণ জমি জোরপূর্বক দখল করে ভবন ও নার্সারি তৈরী করেছে। এমনি এখান থেকে ৫ শতক সরকারী সম্পত্তি সম্পুর্ণ বেআইনী বিক্রয় করেছে।

বক্তারা আরও বলেন, সরকারী খাস কিংবা অর্পিত সম্পত্তির অধিকার প্রকৃত ভুমিহীনদের।সেখানে একজন অর্থবান ও প্রভাবশালী ব্যাক্তি অসহায় সাঁওতাল আদিবাসীদের বিরত করে জেলা প্রশাসনের কাছে লীজ পায় কিভাবে? সাঁওতাল আদিবাসীরা তাদের জমি উদ্ধারের জন্য যতবারই চেষ্টা করেছে অবৈধ দখলকার কালাম মিয়া ততবারই তার গুন্ডাবাহিনী দিয়ে বাঁধা দিয়েছে।

পুলিশ প্রশাসন, মেয়র, স্থানীয় কাউন্সিলর কারো কাছে গিয়ে কোন প্রতিকার পায়নি তারা।

তারা বলেন, যে কোন সময় এই জমিকে কেন্দ্র করে সেখানে রক্তপাত-হানাহানির ঘটনা ঘটতে পারে। এই জমিটুকুই সাঁওতাল আদিবাসীদের সম্বল। এখান থেকে ওই ভূমিদস্যুর অত্যাচারে উচ্ছেদ হলে তাদের পথে বসা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না।

সভা থেকে অবিলম্বে আবুল কালাম মিয়া ও তার পুত্রদের নামে ১৩ শতক জমির লীজাদেশ বাতিল ও সাঁওতাল পল্লীর জমি অবৈধ দখলমুক্ত করার জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানান হয়।

এনএইচ/রাতদিন