রংপুরে খুনের শিকার আইনজীবীর দাফন সম্পন্ন, বার সমিতির কর্মসূচী কাল

রংপুর নগরীতে নিজ বাড়িতে খুনের শিকার আইনজীবী আসাদুল হক (৬০)-এর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল শুক্রবার, ৫ জুন দুুপুর দেড়টার দিকে নগরীর ৩২ নং ওয়ার্ডের মর্ডাণ ধর্মদাস বারো আউলিয়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে ওই আইনজীবীর লাশ উদ্ধার করা হয়।

শনিবার, ৬ জুন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পোষ্ট মোটেম শেষে নগরীর ধর্মদাস বারো আউলিয়ায় প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।

সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন রংপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র, সাবেক কাউন্সিলর আবুল কাশেম চেয়ারম্যান, তাজহাট থানার ওসি শেখ রোকনুজ্জামান রোকন, রংপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট ফিরোজ কবীর চৌধুরী গুনজন প্রমুখ। এসময় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক বৃন্দ, আইনজীবিবৃন্দসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।

পরে নিহতের গ্রামের বাড়ি মিঠাপুকুর উপজেলার বালুয়া ছড়ান এলাকায় দ্বিতীয় জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

নিহত আসাদুল হক রংপুর জেলা আইনজীবি সমিতির সিনিয়র সদস্য ও সাবেক এপিপি এবং জাসদ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা ছিলেন। এঘটনায় নিহতের ছোট মেয়ে অংকন হক বাদি হয়ে তাজহাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ ও স্থনীয়রা জানান, নিহত আইনজীবীর দুই মেয়ে। বড় মেয়ে আশা হক অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী। করোনা পরি¯ি’তিতে ছোট মেয়ে বগুড়া আজিজুল হক কলেজের শিক্ষার্থী অংকন হককে নিয়ে স্ত্রী সাবেরা হক শেফালী তাদের গ্রামের বাড়ি মিঠাপুকুর উপজেলার বালুয়া ছড়ান এলাকায় অব¯’ান করছিলেন। আর ধর্মদাস বারো আউলিয়ার ওই বাড়িতে আসাদুল হক একা থাকতেন।

গতকাল শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েন রতন। এসময় আসাদুল হকের গলায় এবং পেটে ছুরিকাঘাত করে দেয়াল টপকে পালিয়ে যাওয়ার সময় ¯’ানীয়রা রতনকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে তাজহাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আইনজীবীর লাশ উদ্ধার করে।

আগামীকাল রোববার বার সমিতির সভায় হত্যাকাÐের প্রতিবাদে কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।