রংপুরে চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলা: সেই এএসআই ফেঁসে গেলেন

রংপুরে চাঞ্চল্যকর স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের মামলায় পুলিশের সাবেক এএসআই রাহেনুল সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে পিবিআই। এএসআই রাহেনুল ইসলাম প্রেমের ফাঁদে ফেলে ওই স্কুলছাত্রীকে গতবছরের ১৮ অক্টোবর ধর্ষণ করে।

মঙ্গলবার, ৯ মার্চ দুপুরে পৃথকভাবে রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে এবং মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইবুনালে মোট ৩৬৭ পাতার প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

চার্জশিট সূত্রে জানা যায়, রংপুরের হারাগাছ থানাধীন বাহার কাছনা মাস্টার পাড়া এলাকায় দশম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে রংপুর মেট্টোপলিটন ডিবি পুলিশের এসআই রাহেনুল ইসলাম সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে গণ ধর্ষণের মামলা করেন ভুক্তভোগীর পিতা আয়নাল হক।

এতে আসামি এসআই রাহেনুল ইসলাম, সুমাইয়া পারভীন মেঘলা, সুরভী আক্তার সমাপ্তি, বাবুল হোসেন এবং আবুল কালাম আজাদকে গ্রেফতার করা হয়। আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বাবুল হোসেন ও আবুল কালাম আজাদ আদালতে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।

এছাড়াও ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধারায় আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেন। আসামিদের জবানবন্দি ও জব্দকৃত আলামতসহ ডিএনএ পরীক্ষায় গণধর্ষণের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়।

জানা গেছে, এএসআই রাহেনুল ইসলাম প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভুক্তভোগীকে ২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর বাহার কাছনার সুমাইয়া পারভীন মেঘলার ভাড়া বাসায় সন্ধ্যা সাতটার দিকে ধর্ষণ কর। ছাত্রীকে তার বাড়ির কাছে পৌঁছে দেয়। এ বিষয়ে তার মা রাগারাগি করলে ওই স্কুল ছাত্রী রাত দশটার দিকে আবারও মেঘলার বাড়িতে আসে।

পরে মেঘলা তার বান্ধবী সুরভী আক্তার সমাপ্তিসহ বাবুল ও কালামের সাথে পরেরদিন সকাল এগারোটার দিকে তিন হাজার টাকার বিনিময়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করায়।

এসময় উপস্থিত রংপুর পিবিআই’র সুপার এবিএম জাকির হোসেন বলেন, আমরা এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধেও নিরপেক্ষ তদন্ত করে ধর্ষণের বিষয়ে প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছি। আইন সবার জন্য সমান। চার্জশিট দাখিল করা হলো। অপরাধ করলে কেউ পার পাবেনা।

জেএম/রাতদিন

মতামত দিন