রংপুরে ‘জোর করে’ নিয়মিতদের পরীক্ষা অনিয়মিতদের প্রশ্নে!

শনিবার থেকে শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষায় অনিয়মিতদের প্রশ্নে নিয়মিতদের জোর করে পরীক্ষা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগ উঠেছে রংপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বরত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে।

বিষয়টি নিয়ে শনিবার, ২ ফেব্রুয়ারি বিকেলে এ ঘটনার প্রতিবাদে কেন্দ্রের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছে পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।

জানা গেছে, পরীক্ষার প্রথম দিন ওই কেন্দ্রে বাংলা (আবশ্যিক-সৃজনশীল) প্রথম পত্রের পরীক্ষায় অনিয়মিতদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নপত্র দেয়া হয় নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের।

এবার দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডে ওই বিষয়ে অনিয়মিতদের জন্য ২০১৮ সালের সিলেবাস অনুয়ায়ী ‘গুলিস্তান সেট-৪’ এবং ২০১৯ সালের সিলেবাসে প্রনীত ‘মল্লিকা সেট-৪’ সেটকোডের প্রশ্নপত্র নির্ধারণ করা হয় নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের জন্য।

কেন্দ্রটিতে ভুল প্রশ্নপত্র পেয়েও প্রথমে বুঝতে পারেনি নিয়মিত পরীক্ষার্থীরা। তবে পরীক্ষা শুরুর ঘন্টাখানেক পর কেন্দ্রের কয়েকটি কক্ষের নিয়মিত পরীক্ষার্থীরা বিষয়টি বুঝতে পারে।

পরে তারা ২০১৮ সালের সিলেবাসে তৈরি প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিতে অপারগতা জানায়। কিন্তু দায়িত্বরত শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের ওই প্রশ্নেই পরীক্ষা দেয়ার নির্দেশ দেন। ফলে বাধ্য হয়ে অনেক নিয়মিত পরীক্ষার্থী অনিয়মিতদের প্রশ্নেই পরীক্ষা দেয়।

পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন, ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা দেয়ায় তারা ভবিষ্যৎ ফলাফল নিয়ে শঙ্কায় আছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শ্যামপুর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে ভিআইপি শাহাদাৎ হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়, পালিচড়া এমএন উচ্চ বিদ্যালয়, রাধাকৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও পদাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের মোট ৩০১ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। কেন্দ্রের নয়টি কক্ষের চারটির প্রায় দেড় শতাধিক পরীক্ষার্থী ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা দিতে বাধ্য হয়েছে।

বিকেলে সরেজমিন গিয়েও প্রতিষ্ঠানটির কাউকে পাওয়া যায়নি। অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলামের মোবাইল ফোনটিও বন্ধ ছিল।

সদর উপজেলার ইউএনও সাদিয়া ইসরাত সুমি সাংবাদিকদের বলেন, ‘পরীক্ষা শেষে বিষয়টি জানতে পেরেছি। তদন্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে’।

এবি/০২.০২.১৯