রংপুরে ডিসি অফিসের নারী কর্মকর্তা খুনের প্রধান আসামী গ্রেপ্তার

রংপুরে জেলা প্রশাসকের দফতরের সাবেক অডিট কর্মকর্তা আরজুমান বানু মিনু (৬৫) হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত একজনকে গ্রেফতার করেছে মেট্রো পলিটন পুলিশ। আরমান হোসেন নামের গ্রেপ্তার ওই যুবক এই হত্যাকান্ডের মূল আসামী।

গত বুধবার, ২০ মে রাতে নগরীর মুলাটোল এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেন মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) শহিদুল্লাহ কাওছার।

তিনি জানান, আরমান ভাড়াটিয়া খুনি হিসেবে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এ হত্যাকন্ড ঘটিয়েছে। হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারীকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ তৎপরতা চালাচ্ছে। পারিবারিক বিরোধের জেরে ওই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
তিনি আরও জানান, সোমবার রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে তাকে হত্যার পর পালিয়ে যায়। এটি একটি ‘ক্লুলেস’ হত্যাকান্ড ছিল।

তদন্তকারী টিম সন্দেহজনক বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত মূল আসামি আরমান হোসেনকে গ্রেফতার করে। গ্রেতারকৃত আরমানকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে তার দেয়া তথ্যমতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকু, শ্বাসরোধে হত্যার কাজে ব্যবহৃত ওড়না, ভিকটিমের ব্যবহৃত ২টি মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আলামত উদ্ধার করে পুলিশ।

প্রাথমিক তদন্তে জানা যায় যে, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। এ হত্যাকান্ডে জড়িত গ্রেফতারকৃত আসামি আরমান হোসেন একজন ভাড়াটে খুনি। অভ্যন্তরীণ বিরোধের জের ধরে মূল অপরাধী নিজেকে কৌশলে আড়াল করে ভাড়াটে খুনিকে দিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এ পরিকল্পিত হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। এ হত্যাকান্ডের পরিকল্পনাকারীসহ জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকালে নগরীর মুলাটোল হকের গলি এলাকার নিজ বাড়ি থেকে আরজুমান বানু মিনুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত আরজুমান বানু মিনু ওই এলাকার মমদেল হোসেনের স্ত্রী এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অডিট অফিসার হিসেবে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

একমাত্র মেয়ে বিয়ের পর দীর্ঘদিন ধরে তিনি ওই বাড়িতে নিঃসঙ্গ জীবন যাপন করতেন। প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহপরিচারিকাকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। হত্যাকান্ডের সাথে কোনো সম্পর্ক না থাকায় পরে ওই গৃহপরিচারিকাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

এ ঘটনায় ওই বৃদ্ধার জামাই এনায়াতে হোসেন মোহন বাদী হয়ে ওইদিনই অজ্ঞাত আসামি উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।