রংপুরে পুলিশের হাতে চিকিৎসক লাঞ্চিতের ঘটনায় ৩ দিনের কর্মসূচি

পুলিশের এএসআইয়ের হাতে কর্তব্যরত চিকিৎসক লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনায় মানববন্ধন করেছে চিকিৎসকরা।

বুধবার, ১৬ জানুয়ারি দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রমেক) প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধনে অংশ নেয় চিকিৎসকরা।

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) রংপুর জেলা শাখা আয়োজিত মানববন্ধন থেকে তিন দিনের কর্মসূচিও ঘোষনা করা হয়।

ওই তিন দিনের মধ্যে দোষী পুলিশ সদস্যের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়। অন্যথায় আগামী শনিবার কঠোর কর্মসূচি ঘোষনা করা হবে বলে হুশিয়ারী দেওয়া হয় মানববন্ধন থেকে।

ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত কালোব্যাজ ধারণ এবং শনিবার প্রতিবাদ সমাবেশ।

মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএমএর জেলা সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, বিএমএর কেন্দ্রীয় সদস্য জামালউদ্দিন মিন্টু, সার্জারি ওয়ার্ডের চিকিৎসক হৃদয় রঞ্জন রায়, ইর্ন্টাণ চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি আব্দুল হাই সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক আবরার লাবীব।

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি থানার এএসআই রাকিবুল ইসলাম গত সোমবার, ১৪ জানুয়ারি রাতে পায়ে ফোঁড়ার চিকিৎসা নিতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি হন।

সেখানে পরদিন তার অস্ত্রেপচার করা হয়। পরবর্তিতে তিনি ব্যাথায় ছটফট করতে থাকলে বিকালে কর্তব্যরত চিকিৎসক সঞ্জয় কুমার রায় তার খোঁজ নিতে যান। এসময় ওই পুলিশ সদস্য চিকিৎসক সঞ্জয়কে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেন। এতে তিনি মুখ মন্ডলে আঘাত পেলে হাসপাতালের নিউরো র্সাজারি ওয়ার্ডে তাকেও ভর্তি করা হয়।

পুলিশ জানায়, ওই ঘটনার পর এএসআই রাকিবুল ইসলামকে হাসপাতাল থেকে কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে।

ক্লোজড করার সত্যতা নিশ্চিত করে কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার মেহেদুল করিম জানান, ওই এএসআইকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

এইচএ/১৬.০১.১৯