রংপুরে রঙ দিয়ে বৃত্ত এঁকে ক্রেতাদের দূরত্ব নির্ধারণ করে দিলেন সেনাবাহিনী

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত দশ দিনের সাধারণ ছুটিতে রংপুর নগরীর নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার সামগ্রীর দোকান ও ফার্মেসিতে ভিড় বেড়েছে। তাই ক্রেতাদের মধ্যে করোনা ঝুঁকি এড়াতে কম করে এক মিটার দূরত্ব রাখতে নগরীর বাজার গুলোতে সাদা রং দিয়ে রাস্তার ওপর গোল বৃত্ত এঁকে দেয়া হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার, ২৬ মার্চ বিকেলে নগরীর সিটি বাজার, মাহিগঞ্জ বাজারসহ বিভিন্ন ওষুধের দোকানের সামনের সড়কে ওই গোল বৃত্ত আঁকার কাজ করছেন সেনা বাহিনীর সদস্যরা।

বাজারের মুদির দোকান, শাক-সবজি ও মাছ-মাংসের দোকানসহ ওষুধের দোকানে ক্রেতারা কিভাবে দাঁড়াবেন, কতফুট দূরত্বে দাঁড়াবেন, কিভাবে পণ্য কিনবেন তার নির্দেশনাও টাঙানো হয়েছে।

এদিকে গোল চিহ্নের মধ্যে দাঁড়িয়ে থেকে বাজারে পণ্য কিনতে দেখা গেছে ক্রেতাদের। একটি বৃত্ত ফাঁকা হলেই পরেরজন এগিয়ে যাচ্ছেন। দোকানের সামনে এমন বৃত্ত করে দেয়ায় প্রশাসনের প্রতি সাধুবাদ জানান সিটি বাজারে আসা মমিনুল ইসলাম রিপন।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাস আতঙ্কে আমরা সবাই। প্রশাসনের নির্দেশনা অনেকেই মানছে না। অথচ আমাদের ভালো থাকার জন্য নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা জরুরি। এখন আমাদের ক্রেতাদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব সৃষ্টি হবে। এটা অনেক ভালো উদ্যোগ।

এদিকে বৃত্তকরণ কার্যক্রম শেষে সেনা সদস্যদের টিমের সমন্বয়ক মেজর তারেক উপস্থিতদের লোকজনকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে বের হতে নিষেধ করেন। একই সাথে বাজারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করার পরামর্শ দেন ।

সেনা সদস্যরা মাইকিং করে জানাচ্ছে, বাজার করার সময় পরস্পরের মাঝে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। আপনার যদি জ্বর বা সর্দি, কাশি হয় তাহলে বাজার বা লোকালয়ে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। খালি হাতে কোন কিছু স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই হাতে গ্লাভস ব্যবহার করতে হবে। বাজারে যাওয়ার পূর্বে এবং আসার পরে শরীরের সকর কাপড়, জুতা এবং শরীরের উম্মুক্ত স্থানে যথাযথভাবে জীবানুমুক্তকরতে হবে। বিশেষ করে বাজারের ব্যাগ, জুতা, স্যান্ডেল ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে।

অন্যদিকে জেলার বদরগঞ্জ পৌর শহরেও প্রশাসনের উদ্যোগে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করতে ক্রেতাদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। সেখানকার বাজারেও এমন চিহ্ন তৈরি করে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নবীরুল ইসলাম।

জেএম/রাতদিন