রংপুর অঞ্চলের ডিলাররা চাহিদামত সার-বীজ পাচ্ছেন না, ‍দুঃশ্চিন্তায় চাষি

রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও লালমনিরহাট জেলার ৮০০ ডিলার চাহিদামত বিএডিসি’র সার ও বীজ পাচ্ছেনা। এ মৌসুমে রংপুর বাদে বাকি চার জেলা এখন পর্যন্ত ডিপিএ সারের কোনো বরাদ্দই পায়নি। ফলে বন্যার ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই এই অঞ্চলের চাষিরা পড়েছেন নতুন দুঃশ্চিন্তায়।

সমস্যা সমাধানে রংপুর অঞ্চলের বিএডিসি বীজ ও সার ডিলার অ্যাসোসিয়েশন পাঁচ জেলার ডিলারদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেছে আজ শনিবার, ৩ অক্টোবর। সভায় উপস্থিত ছিলেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. বাবুল মিয়া, রংপুর জেলার সভাপতি এস এম ইয়াসির ও সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ বিভিন্ন জেলার নেতৃবৃন্দ।

রংপুর অঞ্চলের বিএডিসি বীজ ও সার ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আলী হাকিম জানান, অতিবৃষ্টি ও বন্যায় শষ্যভান্ডার বলে খ্যাত রংপুর অঞ্চল কৃষিতে অভাবনীয় বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে। এ অঞ্চলের কৃষকরা আলু, গম, ভুট্টা, ধান, বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদন করে স্থানীয় পর্যায়ে চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য স্থানে পাঠিয়ে থাকে। কিন্তুডিলাররা চাহিদামত বীজ ও সার সময়মত কৃষকদের কাছে পৌঁছাতে পারেনি। ফলে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বীজ ও সার ডিলার অ্যাসোসিয়েশন সূত্র জানায়, গত বছর এ অঞ্চলের পাঁচ জেলার ডিলাররা তিন হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন আলুবীজ, দুই হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ধানবীজ, এক হাজার ২০০ মেট্রিক টন গমবীজ ও ৬২ মেট্রিকটন হাইব্রিড ধানবীজ বরাদ্দ পেয়েছিল। এবার অর্ধেকও পাওয়া যায়নিা। ফলে ডিলাররা কৃষকদের মাঝে সময় মত বীজ সরবরাহ করতে পারেনি।

সূত্র মতে, একজন ডিলারের প্রতিমাসে ৩০০ বস্তা করে ইউরিয়া সারের চাহিদা থাকলেও গত তিন মাসে তারা পেয়েছেন গড়ে ১৫ থেকে ১৮ বস্তা।

বিএডিসি’র রংপুরের উপ-পরিচালক আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘শুধু আলুবীজের সংকট রয়েছে, অন্যান্য বীজের সংকট নেই বরাদ্দ কিছুটা কম রয়েছে’।

তিনি আরও বলেন, ‘সারের বিষয়টি আমি দেখিনা। তবে শুনেছি সারেরও কিছু সংকট আছে’।

এবি/রাতদিন