ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যা, পদ ফিরে পেল রনি

ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনিকে পুনরায় বহাল রাখা হয়েছে।

রোববার, ৩১ জানুয়ারি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রনির অব্যাহতির আদেশ প্রত্যাহার করে তাকে পূর্বের পদে বহাল রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনির বিরুদ্ধে প্রতারণামূলক বিয়ের মাধ্যমে একাধিকবার ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের অভিযোগে মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছিলেন এক স্কুলশিক্ষিকা। এ ঘটনায় ওই বছরের ১০ অক্টোবর মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনিকে রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছিল।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত না হওয়ায় তার অব্যাহতি আদেশ প্রত্যাহার করে তাকে স্বপদে বহাল রাখা হলো।  একই সঙ্গে আগামী দুই মাসের মধ্যে সাংগঠনিক নিয়ম অনুযায়ী রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন আয়োজনের নির্দেশ দেয়া হলো। অন্যথায় কমিটি বিলুপ্ত বলে গণ্য হবে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনির বিরুদ্ধে ভুয়া বিয়ে করে একাধিকবার ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেন এক স্কুলশিক্ষিকা।

মামলায় রনিকে প্রধান আসামি করে ওই শিক্ষিকা অভিযোগ করেন, প্রেমের সম্পর্কের জেরে ভুয়া বিয়ের নাটক সাজিয়ে দীর্ঘদিন তাকে ধর্ষণ করা হয়। এছাড়াও ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কয়েকবার ভারতের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়েও তাকে ধর্ষণ করেন রনি।

এ ঘটনায় ওই বছরের ১০ অক্টোবর ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনের নীতি, আদর্শ ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার দায়ে মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনিকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। একই সঙ্গে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুমন সরকারকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়।

এনএ/রোতদিন

মতামত দিন