রংপুরে দম্পতি পরিচয়ে হোটেলে রাত্রিবাস, স্ত্রীর মরদেহ তালাবদ্ধ রেখে লাপাত্তা স্বামী

রংপুরের ষ্টেশন এলাকায় বসুন্ধরা রেষ্ট হাউজ নামের একটি হোটেল থেকে এক মহিলার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্বামী স্ত্রীর পরিচয়ে তারা ওই রেষ্ট হাউজে ওঠেন।

শুক্রবার, ৬ নভেম্বর দুপুরে হোটেলের ৫ নম্বর কক্ষ থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় হোটেল ম্যানেজার মোহাম্মদ আলী সহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।

রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশের কোতয়ালী থানার ওসি আব্দুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায় গতকাল বৃহষ্পতিবার রাত পৌনে ন’টার দিকে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে এক দম্পতি বসুন্ধরা রেষ্ট হাউজে আসে। তারা নিজেদের নাম সাইফুল ইসলাম ও তার স্ত্রীর নাম আরজিনা খাতুন(৩০) ঠিকানা দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার ফারাক্কা বাঁধ এলাকায় বলে জানায়। তারা হোটেলের ৫ নম্বর কক্ষ ভাড়া নিয়ে রাত্রি যাপন করে।

সকালে রুমের বাইরে তালা লাগিয়ে ষ্টেশন এলাকায় খরচ নেবার কথা বলে বের হয়ে যায় সাইফুল ইসলাম। এরপর সে আর হোটেলে ফিরে আসেনি। বেলা ১২ টার পর হোটেল কতৃপক্ষের সন্দেহ হলে তারা রুমে কড়া নাড়ানাড়ি করলেও কোন সারা শব্দ না পেয়ে পেছনের ভেন্টিলেটার দিয়ে দেখতে পায় সেখানে অবস্থান করা নারী মৃত অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছে।

হোটেল কতৃপক্ষ থানায় খবর দেয়। পুলিশ রুমে বাইরে থেকে তালা লাগানো অবস্থায় মরদেহ দেখতে পান। এরপর সিআইডি পুলিশ ও পিবিআই পুলিশের একটি দল ঘটনা স্থলে আসে। পরে দরজার তালা ভেঙ্গে মহিলার লাশ উদ্ধার করে।

কোতয়ালী থানার ওসি আব্দুর রশিদ জানান, শ্বাস রোধ করে মহিলাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। ময়না তদন্ত করে প্রতিবেদন পেলে প্রকৃত রহস্য উদঘাটিত হবে। তবে তারা স্বামী স্ত্রী কিনা তাদের বাড়ির ঠিকানা ঠিক কিনা সার্বিক বিষয় তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এদিকে সিআইডি ও পিবিআই পুলিশ জানান তারা ছায়া তদন্ত শুরু করেছেন। দুপুরে ঘটনা স্থলে আসেন মেট্রোপলিটান পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার ক্রাইম আবু মারুফ হোসেন ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার শহিদুল্লা কাওছার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের জানান এ ঘটনায় হোটেল ম্যানেজার মোহাম্মদ আলী ও হোটেলের মাুিলক পক্ষের লোক শাহ আলমকে জিজ্ঞ্সাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করতে অভিযান শুরু করা হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

জেএম/রাতদিন