রংপুর বিভাগে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার হচ্ছেন যারা

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় আওয়ামী লীগ থেকে দুই শতাধিক নেতা বহিষ্কার হতে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে বহিষ্কার প্রক্রিয়া। দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর পরবর্তী সভায় তাদের সাময়িক বহিষ্কার ও কারণ দর্শানোর দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হবে। এর মধ্যে রংপুর বিভাগের রয়েছেন ২৭ জন।

দেশের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় সিদ্ধান্তের পর বহিষ্কৃতদের কয়েক ধাপে চিঠি দেয়া হবে। একই সঙ্গে কেন তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তা জানতে চেয়ে নোটিশ দেয়া হবে।

এর আগে, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে (গণভবন) দলটির উপদেষ্টা পরিষদ ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় ওইসব নেতাদের সাময়িক বহিষ্কার ও শোকজের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে গেল নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন এবং ওইসব প্রার্থীদের সহায়তা করেছিলেন এমন নেতাদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে খুলনায় ৪১, রাজশাহীতে ২০, সিলেটে ৩২, রংপুরে ২৭, বরিশালে ১৭, ময়মনসিংহে ২০, ঢাকায় ৪৫ জনের বেশি এবং চট্টগ্রামে ১৭ জনের বেশি।

এ পর্য ন্ত মোট ২০০ জনের নাম জানা গেছে। এদের মধ্যে রংপুর বিভাগের যারা রয়েছেন তারা হলেন-

দিনাজপুর:

১. নবাবগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান।

২. নবাবগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নিজামুল হাসান শিশির।

৩. বিরামপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম রাজ।

৪. খানসামায় জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবু হাতেম।

৫. চিরিরবন্দরে জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম তারিক।

৬. কাহারোলে সাবেক এমপি আবদুল মালেক সরকার।

৭. বীরগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আখতারুল ইসলাম চৌধুরী বাবুল।

৮. ফুলবাড়ীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি সুদর্শন পালিত।

পঞ্চগড়:

৯. জেলার তেঁতুলিয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোছা. ফরিদা আখতার হীরা।

১০. আটোয়ারীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আনিসুর রহমান।

১১. দেবীগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক চিশতী।

১২. উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পরিমল দে সরকার।

১৩. উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন-উর রশিদ।

১৪. উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোখলেছুর রহমান শাহ।

গাইবান্ধা:

১৫. সদরে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শাহ সারোয়ার কবীর।

১৬. সুন্দরগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য খয়বর হোসেন।

১৭. সাদুল্যাপুরে জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক মতিয়ার রহমান।

১৮. গোবিন্দগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুকিতুর রহমান রাফি ফেরদৌস আলম রাজু।

কুড়িগ্রাম:

১৯. জেলার রাজারহাটে রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক সোহরাওয়ার্দী বাপ্পি।

২০. ফুলবাড়ীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ গোলাম রব্বানী।

২১. রাজিবপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন।

লালমনিরহাট:

২২: জেলার হাতীবান্ধায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বদিউজ্জামান ভেলু।

২৩. জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সরওয়ার হায়াত খান।

ঠাকুরগাঁও:

২৪. জেলার বালিয়াডাঙ্গীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সফিকুল ইসলাম। ২৫. পীরগঞ্জ উপজেলায় দৌলতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রাজেন্দ্র নাথ রায়।

রংপুর:

২৬. জেলার মিঠাপুকুর উপজেলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মেজবাহুর রহমান প্রধান।

নীলফামারী:

২৭. ডোমারে আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক বসুনিয়া।

সুত্র: বাংলা রিপোর্ট