রংপুর-৩ উপনির্বাচনে সরঞ্জাম ও উপকরণ যাচ্ছে কেন্দ্রে, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি

রংপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনের সকল প্রস্ততি সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার, ৪ অক্টোবর সকাল থেকে ১শত ৭৫ টি কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম ও উপকরণ নিয়ে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করতে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ভোট গ্রহণের জন্য ১৭৫ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ১ হাজার ২৩ সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং ২ হাজার ৪৬ জন পোলিং অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

১শত ৭৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ (অধিক গুরুত্বপূর্ণ) ৪৯টি কেন্দ্র। এর মধ্যে রংপুর মহনগরীতে ৪০টি ও সদর উপজেলায় ৯টি। ভোটকেন্দ্রগুলোতে ১ হাজার ২৩টি গোপন কক্ষে ভোটগ্রহণ করা হবে।

এই আসনে মোট ভোটার চার লাখ ৪১ হাজার ২ শত ২৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ দুই লাখ ২০ হাজার ৮ শত ২৩ এবং নারী ভোটার দুই লাখ ২০ হাজার ৪ শত ১ জন।

আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস জানিয়েছে, প্রতিটি কেন্দ্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ ও আনসার-ভিডিপি সদস্য নিয়োজিত থাকবে। এছাড়াও র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাবের ২০ টি ইউনিটের পাশাপশি ১৮ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য মোতায়েন থাকবে। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা এবং ১৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন।

রংপুর-৩ শূন্য আসনে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর সব প্রক্রিয়া শেষে নির্বাচনে ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 

এরা হলেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত জাতীয় পার্টির প্রার্থী রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদ (প্রতীক-লাঙ্গল), বিএনপি প্রার্থী রিটা রহমান (প্রতীক-ধানের শীষ), এনপিপির শফিউল আলম (প্রতীক-আম), খেলাফত মজলিসের তৌহিদুর রহমান মন্ডল (প্রতীক-দেওয়াল ঘড়ি) এবং গণফ্রন্টের কাজী মো. শহীদুল্লাহ বায়েজীদ (প্রতীক-মাছ) এরশাদের ভাতিজা সাবেক সংসদ সদস্য হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোটরগাড়ি প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।

এ ছয় প্রার্থীর মধ্যে ভোটারদের আলোচনায় রয়েছেন এরশাদ পরিবারের দুই প্রার্থী সাদ এরশাদ ও শাহরিয়ার আসিফ এবং বিএনপির রিটা রহমান।

রংপুর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার জি এম সাহাতাব উদ্দিন জানান, ভোটগ্রহণের জন্য আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে পারেন, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।

এনএইচ/রাতদিন