রংপুর-৩ উপনির্বাচন: আছে ধানের শীষ, নেই বিএনপি

রংপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী রিটা রহমান প্রচার-প্রচারণায় পাশে পাচ্ছেন না বিএনপির নেতাকর্মীদের। দলের বড় একটি অংশকে ছাড়াই একলা চলো নীতিতে ভোটযুদ্ধে মাঠে নেমেছেন বিএনপিতে সদ্য যোগ দেয়া এই প্রার্থী।

আজ বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে রংপুর মহানগরীর মেডিকেল পূর্বগেট এলাকায় স্থানীয় বিএনপির অল্প কয়েকজন নেতাকর্মী নিয়ে তাকে গণসংযোগ করতে দেখা যায়।

এর আগে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন রিটা রহমান। গত বছর তাকে নিয়ে দলের মধ্যে অনেক কাঁদা ছোড়াছুড়ি হলেও শেষে পর্যন্ত দলের নেতাকর্মীরা তার পক্ষেই ছিলেন।

কিন্তু এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। বিএনপির স্থানীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীদের মনোনয়ন না দেয়ায় দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে মান-অভিমান ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য এমনকি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে খোলা চিঠিও লিখেছেন দলের নেতৃবৃন্দ।

তফসিল ঘোষণার পর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ, জমা দেয়া ও প্রতীক বরাদ্দের দিন হাতেগোনা কয়েকজন নেতাকর্মী ছাড়া কাউকেই রিটা রহমানের সঙ্গে দেখা যায়নি।

গণসংযোগে মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সামসুজ্জামান সামু, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক লিটন পারভেজ, জেলা যুবদলের সাধারণ শামসুল হক ঝন্টু, যুগ্ম সম্পাদক শাহ্ জিল্লুর রহমান, মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জহির আলম নয়ন, রংপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি উপস্থিত ছিলেন।

তবে রংপুর মহানগর ও জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতাদের কাউকে সেখানে দেখা যায়নি। এ পরিস্থিতি দ্রুত কাটিয়ে উঠে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস দিয়েছেন রিটা রহমান।

তিনি বলেন, ‘বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুসহ দলের সিনিয়র নেতারা দুই-একদিনের মধ্যে সবাইকে নিয়ে আলোচনায় বসবেন। সেখানে নির্বাচন কর্মপরিকল্পনা ও দিক-নির্দেশনা দেবেন। আমরা তাদের নির্দেশনাতেই কাজ করব।’

এনএইচ/রাতদিন