রাজধানীর বনানীতেও প্রস্তুত এরশাদের কবর

শেষবারের মতো আজ  মঙ্গলবার রংপুর নেয়া হয়েছে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মরদেহ। এখান থেকে আবার ঢাকায় নিয়ে গিয়ে বনানী সামরিক কবরস্থানে দাফন করা হবে তাঁর মরদেহ।

দাফন সম্পন্ন করতে মঙ্গলবার সকাল থেকে ৩০ জন শ্রমিক কবর প্রস্তুতের কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। ইতোমধ্যে কবর খোঁড়ার কাজ শেষ হয়েছে। বাদ আসর তাঁকে এখানে চির শায়িত করা হবে।

ছবি : সংগৃহীত

যদিও এর আগে গতকাল সোমবারই রংপুরে এরশাদের নির্মানাধীন বাসভবন পল্লীনিবাসের লিচু বাগানে আরেকটি কবর খুঁড়ে প্রস্তুত করেছিলেন জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা। তারা শুরু থেকেই এরশাদকে রংপুরে সমাহিত করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

তবে এরশাদের মরদেহ রংপুরে নিয়ে আসার আগে সকালে ঢাকায় তাঁর ভাই ও জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এরশাদের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী রাজধানীর বনানীতে সামরিক কবরস্থানে তাঁর দাফন করা হবে।

সামরিক কবরস্থানে কবর খনন কাজে দায়িত্বরত সিনিয়র অফিসার দেলোয়ার একটি সংবাদমাধ্যমকে জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৩০ জন শ্রমিক নিয়ে আমরা কবর তৈরির কাজ শুরু করেছি। ইতোমধ্যে কবর খননের কাজ শেষ হয়েছে। তার দাফনের সময় সামরিক ও বেসামরিক উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মকর্তারা কবরস্থানে উপস্থিত থাকবেন। তাদের বসার জন্য ওপরে সামিয়ানা লাগিয়ে নিচে চেয়ার বসানো হচ্ছে।

অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ২২ জুন সিএমএইচে ভর্তি করা হয় এরশাদকে। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থাতেই ১৪ জুলাই সকালে মারা যান তিনি।

রংপুর-৩ আসন থেকে বারবার নির্বাচিত এ সংসদ সদস্যের জন্ম ১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি। তিনি ভারতের কোচবিহার জেলার দিনহাটায় জন্মগ্রহণ করেন। এরশাদ বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান, এককালীন প্রধান সামরিক প্রশাসক ও রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তিনি জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৯০ সালে ব্যাপক গণ-আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর জেলও খাটতে হয় তাকে।