রোহিঙ্গারা ফিরে যাক বিদেশিরা চায় না : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার, ৯ জুন তাঁর সংবাদ সম্মেলনে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে না যেতে বিক্ষোভ বিষয়ে কারা উসকানি দিয়েছে সে প্রশ্ন তুলেছেন।

তিনি বলেন, ‘ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের জন্য আমাদের পূর্ণ প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু সেখানে না যেতে তারা বিক্ষোভ করল কেন। কারা তাদের উসকানি দিল।’

প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমারকেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে যথাযথ উদ্যোগ না নেয়ার জন্য দায়ী করেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা তো চুক্তি করেছি। সব রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের (মিয়ানমার সরকার) সঙ্গে যোগাযোগও আছে। কিন্তু ওইভাবে তাদের সাড়াটা পাই না।রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার আগ্রহী না।’

১১ দিনের ত্রিদেশীয় সফর নিয়ে রবিবার বিকেল ৫টায় গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, ‘বিদেশিরা কখনো চায় না রোহিঙ্গারা ফিরে যাক।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন,  ‘জাপানে সফর করেছি। চীনেও হবে। ইতোমধ্যে চীনে যাওয়ার দাওয়াত ছিল আমার। কিন্তু সে সময় বোধ হয় সংসদে জরুরি কিছু চলছিল। তখন যেতে পারিনি। আগামী জুলাই মাসে যাওয়ার দাওয়াত আছে। চীনের প্রেসিডেন্ট দাওয়াত দিয়েছেন। ৩০ জুন আমাদের বাজেট পাসের ব্যাপার আছে।  বাজেট পাস হওয়ার পর চীনে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক সামিট। সামার সামিটটা হবে ওখানে।তখন যাব।’

বাংলাদেশ-চীনের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে প্রধান মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে সবাই সম্মান করে। যদিও বাংলাদেশ থেকে বহুবার বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু ইতিহাস থেকে তো আর মুছতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর জীবদ্দশায় যারা ছাত্র ছিলেন, যুবক ছিলেন, আজ তাদের অনেকেই রাষ্ট্র ক্ষমতায়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে তাদের একটা আগ্রহ আছে। কাজেই সেদিক থেকে আমাদের একটি ভালো সম্পর্ক আছে। তাড়াতাড়ি চীনে যাওয়ার একটা কর্মসূচি আছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘দাওয়াত তো এত বেশি যে, সব জায়গায় যেতে হলে দেশে থাকব কখন? সব দেশ থেকে আমাকে চায়। এখন তো বয়স হয়েছে, সব জায়গায় যাওয়া সম্ভব হয় না। তবে চীনে যাব এবার। জুলাইতে চীনে যাচ্ছি।’

এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবাই চায় যে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হোক। কিন্তু  মিয়ানমার তাদের নিতে চায় না। এখানেই সমস্যা হয়ে গেছে।  সবাই মিলে সহযোগিতা করলে একটা ব্যবস্থা হবে। না হলে এত লোকের ব্যবস্থা করা কঠিন।

আরেক প্রশ্নের জবাবে রোহিঙ্গাদের কারণে সৃষ্ট সংকটের বিষয়টি ইসলামী দেশগুলোর (ওআইসি) সম্মেলনে তুলে ধরেছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, সম্মেলনে এশিয়ার পক্ষ থেকে আমি বক্তব্য দিয়েছি। এতে জঙ্গিবাদ ও রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনা করি। ভালোভাবে তুলে ধরি এসব বিষয়। মুসলিম দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের কারিগরি শিক্ষার বিষয়েও কথা হয়।

এইচএ/রাতদিন