লম্বা হওয়ার প্রাকৃতিক উপায়

অনেকেই ভাবেন আর একটু উচ্চতা বাড়াতে পারলে কত ভালোই না হতো। কিন্তু উচ্চতা বাড়াতে ব্যায়াম বা ওষুধের চেয়েও কাজে দেয় খাবার।

মানুষের উচ্চতা নিয়ন্ত্রিত হয় হিউম্যান গ্রোথ হরমোন (এইচজিএইচ) নামে একটি হরমোন দ্বারা।

প্রাকৃতিকভাবে উচ্চতা বাড়াতে সহায়ক খাবারগুলো নিয়মিত খান, আর ম্যাজিক দেখুন।

জানতে চান কোন পুষ্টিকর খাবার কীভাবে আপনাকে উচ্চতা বাড়াতে সহায়তা করে? খাবারগুলো হচ্ছে:

দুগ্ধজাত খাবার:

ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিনসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান রয়েছে দুধে। পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে উচ্চতা বাড়াতে নিয়মিত দুধ, আইসক্রিম, দই, ক্রিম এবং পনির রাখুন খাবারের তালিকায়।

ডিম-মুরগি:

ডিম এবং মুরগি হচ্ছে প্রোটিন এবং ভিটামিন বি১২ এর মতো অনেক পুষ্টির পাওয়ার হাউস। উচ্চতা বাড়াতে চাইলে নিয়মিত মরুগির মাংস ও ডিম খেতে হবে।

সয়াবিন:

আপনি কি জানেন সয়াবিনে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে? হ্যাঁ, উদ্ভিদ থেকে আমরা যে প্রোটিন পাই তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ উৎস হচ্ছে সয়াবিন। লম্বা হতে চাইলে প্রতিদিনের খাবারে অন্তত ৫০ গ্রাম সয়াবিন থাকা উচিত।

ফল ও শাকসবজি:

ফল ও শাকসবজি তো আমরা প্রতিদিনই খাই। তবে চেষ্টা করুন এবং সেগুলোকে কাঁচা অথবা সেদ্ধ করেই খেয়ে নিতে। বেশি সময় ধরে রান্না করলে খাবারের পুষ্টিগুণ কমে যায়।

অশ্বগন্ধা:

অশ্বগন্ধা যা ভারতীয় জিনসেং নামেও পরিচিত এটি একটি উদ্ভিদ। অশ্বগন্ধা উচ্চতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। প্রতিদিন এক চাচামচ অশ্বগন্ধার গুঁড়া এক গ্লাস দুধে মিশিয়ে পান করতে পারেন।

প্রোটিন:

প্রোটিনে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড আমাদের দেহের হাড়, পেশি ও টিস্যু গঠনে সাহায্য করে তাই প্রতিদিনের খাবারে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার মাছ, ডাল ও বাদাম বেশি রাখুন। এগুলো খাওয়ার পাশাপাশি চিনি, ট্রান্স ফ্যাট এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট গ্রহণের পরিমাণ কমাতে হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, পুরুষরা পঁচিশ বছর বয়স পর্যন্ত ও নারীরা আঠারো বা উনিশ বছর বয়সের মধ্যে তাদের পূর্ণ উচ্চতা অর্জন করে।

এনএইচ/রাতদিন