লালমনিরহাটসহ ৫৬ পৌরসভায় আ.লীগের মেয়র প্রার্থী যারা

চতুর্থ ধাপে দেশের ৫৬টি পৌরসভার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে।

বুধবার, ১৩ জানুয়ারি দলের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় তাদের মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক পৌরসভা নির্বাচনে (চতুর্থ ধাপ) আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের নামের তালিকা দেওয়া হলো-
চতুর্থ ধাপের পৌর নির্বাচনে ৫৬ পৌরসভায় মেয়র পদে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

বুধবার, ১৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এসব প্রার্থীদের চূড়ান্ত করা হয়।

মনোনীত প্রার্থীরা হলেন- ঠাকুরগাঁও সদরে আঞ্জুমান আরা বেগম, রাণীশংকৈলে মোস্তাফিজুর রহমান, লালমনিরহাট সদর পৌরসভায় মোফাজ্জল হোসেন এবং পাটগ্রামে রাশেদুল ইসলাম সু্ইটকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌরসভায় শহীদুল আলম চৌধুরী, কালাইয়ে রাবেয়া সুলতানা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে সৈয়দ মনিরুল ইসলাম, রাজশাহীর নওহাটা পৌরসভায় হাফিজুর রহমান হাফিজ, গোদাগাড়ীতে অয়েজ উদ্দিন বিশ্বাস, তানোরে ইমরুল হক, তাহেরপুর পৌরসভায় আবুল কালাম আজাদ, নাটোরের বড়াইগ্রামে মাজেদুল বারী নয়ন এবং নাটোর পৌরসভায় উমা চৌধুরীকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে রফিকুল ইসলাম, আলমডাঙ্গায় হাসান কাদির গনু, যশোরের চৌগাছায় নুর উদ্দীন আল-মামুন, বাঘারপাড়ায় কামরুজ্জামান, বাগেরহাট সদরে খাঁন হাবিবুর রহমান এবং সাতক্ষীরা সদরে শেখ নাসেরুল হক মনোনয়ন পেয়েছেন।

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, বরিশালের মুলাদীতে শফিকউজ্জামান, বানারীপাড়ায় সুভাস চন্দ্র শীল, টাঙ্গাইলের গোপালপুরে রকিবুল হক ছানা, কালিহাতীতে মোহাম্মদ নুরুন্নবী, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে আনোয়ার হোসেন, হোসেনপুরে আ. কাইয়ুম (খোকন), করিমগঞ্জে মুসলেহ উদ্দিন, মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিমে আবদুস ছালাম, নরসিংদী পৌরসভায় আশরাফ হোসেন সরকার, মাধবদীতে মোশাররফ হোসেন, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নজরুল ইসলাম, রাজবাড়ী পৌরসভায় আলী চৌধুরী, ফরিদপুরের নগরকান্দায় নিমাই চন্দ্র সরকার, মাদারীপুরের কালকিনিতে এস. এম. হানিফ এবং শরীয়তপুরের ডামুড্যা পৌরসভায় কামাল উদ্দিন আহমদ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন।

জামালপুরে মেলান্দহে শফিক জাহেদী রবিন, শেরপুর পৌরসভায় গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া, শ্রীবরদীতে মোহাম্মদ আলী লাল মিয়া, ময়মনসিংহের ফুলপুরে শশধর সেন, নেত্রকোনা পৌরসভায় নজরুল ইসলাম খান, সিলেটের কানাইঘাটে লুত্ফুর রহমান এবং হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে মোহাম্মদ সাইফুল আলম মনোনয়ন পেয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় তাকজিল খলিফা, কুমিল্লার হোমনায় নজরুল ইসলাম, দাউদকান্দিতে নাইম ইউসুফ, চাঁদপুরের কচুয়ায় নাজমুল আলম, ফরিদগঞ্জে আবুল খায়ের পাটওয়ারী, ফেনীর পরশুরামে নিজাম উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, নোয়াখালীর চাটখিলে নিজাম উদ্দিন, সোনাইমুড়িতে নুরুল হক চৌধুরী, লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে এম মেজবাহ উদ্দিন, চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় মোহাম্মদ জোবায়ের, পটিয়ায় আইয়ুব বাবুল, চন্দনাইশে মাহবুবুল আলম, খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় শামছুল হক, রাঙ্গামাটি পৌরসভায় আকবর হোসেন চৌধুরী এবং বান্দরবান পৌরসভায় মোহাম্মদ ইসলাম বেবী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন।

আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ ধাপের পৌর নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ১৭ জানুয়ারি, বাছাই ১৯ জানুয়ারি এবং প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৬ জানুয়ারি। এর মধ্যে ৩১টি নির্বাচন হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এবং বাকিগুলো হবে ব্যালটে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বোর্ডের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, ওবায়দুল কাদের, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফরউল্লাহ, আবদুর রজ্জাক, ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান ও আবদুস সোবহান গোলাপ।

গত ৫ জানুয়ারি মঙ্গলবার চতুর্থ ধাপে ৫৬ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন বিতরণ শুরু করে। ৫ থেকে ১১ জানুয়ারি (সোমবার) বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম বিতরণ করা হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়নের জন্য আবেদনপত্র সংগ্রহ এবং জমা পড়ে।

আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত প্রথম ধাপের ২৫ পৌরসভায় দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন ১০৫ জন। আগামী ১৬ জানুয়ারি হতে যাওয়া দ্বিতীয় ধাপের ৬১টি পৌরসভায় মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন ৩০৫ জন। ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া তৃতীয় ধাপের ৬৪টি পৌরসভায় ৩৫২ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।

গত বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল। যেকোনো নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার মতো একাধিক যোগ্য প্রার্থী থাকা স্বাভাবিক। সুতরাং মনোনয়নবঞ্চিতদের যোগ্যতা অনুযায়ী সাংগঠনিকভাবে মূল্যায়নের সুযোগ রয়েছে।

তিনি বলেন, প্রতিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত করার জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দলের সিনিয়র নেতাদের সমন্বয়ে পৃথক মনোনয়ন বোর্ড রয়েছে। একটি স্থানীয় সরকার, অপরটি সংসদীয়। সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তৃণমূল নেতাদের মতামত, সংশ্লিষ্ট জেলা উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের সুপারিশ, সরকারি-বেসরকারি এবং দলীয় জরিপ রিপোর্টের পাশাপাশি প্রার্থীদের যোগ্যতা, ত্যাগ ও জনপ্রিয়তা বিবেচনা করে দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়।

এ সময় দলের শৃঙ্খলা ও স্বার্থপরিপন্থি কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেছিলেন, দলীয় কোনো দায়িত্বশীল নেতা ও জনপ্রতিনিধি বিদ্রোহী প্রার্থীদের মদত দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এনএ/রাতদিন

মতামত দিন