লালমনিরহাটে জেলা পরিষদ সদস্যের দম্ভোক্তি: ‘গলা কেটে মেরে ফেলবো, মাংস খাবে গ্রামবাসী’

লালমনিরহাট জেলা যুবলীগের ক্রীড়া সম্পাদক মজনু আলী শেখকে হত্যার হুমকিসহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠেছে জেলা পরিষদের এক সদস্যের বিরুদ্ধে। ওই যুবলীগ নেতার বাড়ি জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা বাজার এলাকায়। এ ঘটনায় তিনি গতকাল বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর রাতে কালীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি(জিডি) করেছেন।

আবু মুসা আল কুতুব মিন্টু নামের জেলা পরিষদের ওই সদস্যের বাড়ি জেলার আদিতমারী উপজেলার মহিষাশহর এলাকায়। তিনি জেলা পরিষদের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। তার হুমকিসহ গালিগালাজ করা একটি ফোনের কল রেকর্ড রাতদিননিউজ হাতে পেয়েছে।

মজনু আলী শেখ জিডিতে অভিযোগ করেন, গত ১৯ অক্টোবর রাতে মিন্টু তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। এসময় নানা ধরণের হুমকিসহ মজনুকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়া হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে জিডিতে। এদিকে ওই ফোন রেকর্ডেও এ অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, মহিষাশহর এলাকার একটি মারামারির ঘটনায় আদিতমারী থানায় একটি অভিযোগ জমা হয়। বিষয়টি নিয়ে মামলা না করে মিমাংসার মাধ্যমে মিটমাট করে দেয়ার পরামর্শ দেন মজনু আলী শেখ। কিন্তু বিষয়টিকে ভালোভাবে নেয়নি জেলা পরিষদ সদস্য আবু মুসা আল কুতুব মিন্টু। ফলে ফোন করে মজনুকে তিনি গালিগালাজসহ মেরে ফেলার হুমকি দেন।

ফোনের কল রেকর্ডে মিন্টুকে বলতে শোনা যায়, ‘যাদের জন্য তদবির করা হয়েছে আগামীকাল থেকে তাদের যেখানেই পাব কলা কেটে ফেলে দিব। মহিষাশহরের গ্রামবাসী তাদের মাংস টুকরো টুকরো করে খাবে’। এসময় মজনু বলেন, ‘আমিতো কারো পক্ষ বা বিপক্ষে কিছু বলিনি। আমি বলেছি ওখানে আমার একজন ফুপা শ^শুর আছে তাই বিষয়টি আপোষ করার কথা বলেছি’।

মজনুর জবাবে আরও ক্ষেপে গিয়ে লেখার অযোগ্য ভাষায় গালাগাল শুরু করেন জেলা পরিষদ সদস্য। বলেন, ‘তোমার ফুপা শ^শুরের…। তোমার…। তোকে আমি একেবারে শেষ করে দিব। কাকিনার মাল তুই কাকিনায় থাক’।

মজনু আলী শেখ বলেন, ‘আমিসহ আমার পরিবারকে গালিগালাজ করেই থামেননি ওই জেলা পরিষদ সদস্য। তিনি আমাদের প্রাণে মারারও হুমকি দিয়েছেন। আমি ঘটনাটি তদন্তের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি’।

এ বিষয়ে কথা বলতে আবু মুসা আল কুতুব মিন্টুকে ফোন করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে কোনো কথা না বলেই কেটে দেন।

কালীগঞ্জ থানার ওসি আরজু মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এইচএ/রাতদিন