২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যক্রম শুরু হচ্ছে দেশের প্রথম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমআরএএইউ)। আর চলতি বছরের নভেম্বর থেকেই শুরু হতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়টির ভর্তি প্রক্রিয়া। এখন শুধু অপেক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চূড়ান্ত অনুমোদন।
ইউজিসি সূত্র মতে, চূড়ান্ত অনুমোদনের চিঠি পাঠানো হবে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই।
রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পুরোনো চারতলা ভবনে নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রাথমিকভাবে তার কার্যক্রম শুরু করবে। একই সাথে নিকটবর্তী কয়েকটি ভবন ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কাছে অনুমতির জন্য আবেদন করা হয়েছে।
বিএসএমআরএএইউ’র উপাচার্য এয়ার ভাইস-মার্শাল এএইচএম ফজলুল হক বলেন, ‘দেশে এভিয়েশন সেক্টরে দক্ষ মানবসম্পদের প্রয়োজন রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানে স্থানীয়ভাবে অ্যারোনটিক্যাল ও অ্যারোস্পেস বিশেষজ্ঞ তৈরিতে সহায়তা করবে। উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য এটি একটি পদক্ষেপ।’
এদিকে লালমনিরহাট জেলায় অবস্থিত সাবেক বিমানবন্দরে এই এভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয়টির মূল ক্যাম্পাস প্রস্তুতের কাজ চলছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়টির একটি শাখা ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংলগ্ন আশকোনাতে নির্মাণ করা হবে।
দেশে অ্যারোনটিক্যাল ও অ্যারোস্পেস বিদ্যার প্রসার ঘটাতেই মূলত বিএসএমআরএএইউ প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে । এখানে এভিয়েশন ক্ষেত্রে পাইলট, এভিয়েশন বিজ্ঞানী, ইঞ্জিনিয়ার এবং এর সাথে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। অ্যারোস্পেস গবেষণার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়টিতে উড়োজাহাজ নির্মাণ, মেরামত, স্যাটেলাইট নির্মাণ এবং লঞ্চিং বিষয়ে পড়াশোনা করা হবে।
নতুন এই এভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাথমিকভাবে তিনটি স্নাতক ও দুটি স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে ১০০ থেকে ১৫০ জন শিক্ষার্থী নেবে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে সাত ফ্যাকাল্টি ও চার ইন্সটিটিউটের অধীনে ৩৭টি ডিপার্টমেন্ট থাকবে।
এভিয়েশন অপারেশন ম্যানেজমেন্ট, এভিয়েশন সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি ও এয়ারক্রাফট মেইনটেইনেন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে স্নাতক সম্পন্ন করা যাবে। এছাড়াও স্নাতকোত্তর করা যাবে এভিয়েশন অপারেশন ম্যানেজমেন্ট ও অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ের উপর। এর সাথে আগামী বছরে ফ্লাইট মেইনটেইনেন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম চালু করা হবে।
বিএসএমআরএএইউ উপাচার্য ফজলুল হক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়টি আন্তর্জাতিকমানের হবে। বেশ কয়েকটি দেশের সহায়তায় এর কার্যক্রম প্রস্তুত করা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে ইউজিসি’র পাবলিক ইউনিভার্সিটি বিভাগের পরিচালক মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘বিএসএমআরএএইউ কর্তৃপক্ষ থেকে তারা অনুমতি চেয়ে একটি চিঠি পেয়েছেন। খুব শিগগিরই ইউজিসির পক্ষ থেকে অনুমতি দেয়া হবে। অনুমতি দেয়ার আগে আমাদের কিছু প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই অনুমতিপত্র দেয়া হতে পারে।’
এনএইচ/রাতদিন
উত্তরের মুখ